বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরে বসেই মাপুন বস্নাড প্রেশার

নতুনধারা
  ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। এর জন্য, অনেক বিষয়ের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বস্নাড প্রেশার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি এটি সময়মতো পরীক্ষা করাও প্রয়োজন।

আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। এর জন্য, অনেক বিষয়ের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর মধ্যে বস্নাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বস্নাড প্রেশার বেশি হলে সমস্যাও দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে নিম্ন রক্তচাপ থাকলেও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। রক্তচাপের সরাসরি প্রভাব হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।

বস্নাড প্রেশার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি এটি সময়মতো পরীক্ষা করাও প্রয়োজন। এমন অবস্থায়, রক্তচাপ পরীক্ষা করার জন্য প্রতিবার বাইরে যাওয়ার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। তাই আজ আমরা আপনাকে বলব কীভাবে আপনি ঘরে বসে আপনার বস্নাড প্রেশার পরীক্ষা করতে পারেন।

হাই বস্নাড প্রেশার কি?

উচ্চ রক্তচাপ এখন আর বয়সের ওপর নির্ভর করে না। খুব অল্প বয়স থেকেই মানুষ এখন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন। লাইফস্টাইল ডিজিজ এখন হাই বস্নাড প্রেশার। অনিয়মিত জীবনধারণ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, মূলত এই কারণে খুব অল্প বয়স থেকেই এখন উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।

কিসে মাপবেন বস্নাড প্রেশার?

এমনি তো 'ট্যাডিশনাল' যন্ত্র রয়েছেই। তবে হালে নানা ধরনের অ্যাপের আবির্ভাব হয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে বস্নাড প্রেশার মাপা কোনো ঝক্কিই নয়। এসব অ্যাপের কিছু কিছু তো আবার সরাসরি মনিটর থেকে রিডিং নিয়ে নেয়। ফলে লিখে রাখার সমস্যায় পড়তে হয় না। তবে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, হোম বস্নাড প্রেশার মনিটরিং এমনিতে লাভজনক এবং উপযোগী অভ্যাস হলেও ঘন ঘন তা করা কোনোমতেই উচিত নয়। এতে লাভের বদলে ক্ষতি বেশি হবে। আতঙ্ক বড়বে, অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে। তবে এমনিতেও কোনো কিছুর 'অতি' ভালো নয়। সেটুকু মনে রাখলেই ব্যস!

বস্নাড প্রেশার মাপার সঠিক নিয়ম ধাপে ধাপে

১) রাগী চেয়ারে পেছনে হেলান দিয়ে বসে, দুই হাত টেবিলের উপর থাকবে। রোগীর হাত এমনভাবে রাখতে হবে যেন হার্টের সমতলে থাকতে হবে। হাফ হাতা অথবা ঢিলা জামা পরা ভালো। জামার হাতা ভাঁজ করে উঠিয়ে রাখার সময় যেন টাইট হয়ে না যায়। বস্নাড প্রেশার মাপার কাফ এবার কনুই থেকে ২.৫ সে.মি. উপরে বাঁধুন। খুব ঢিলা অথবা টাইট করে বাঁধা যাবে না। স্থূল ব্যক্তি ও বাচ্চাদের কাফের সাইজ ভিন্ন হয়।

২) কনুইয়ের উপরে হাত দিয়ে ব্রাকিয়াল ধমনির অবস্থান নির্ণয় করে স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসাতে হবে। ডায়াফ্রাম কাপড়ের উপরে রাখলে ডায়াফ্রাম ও কাপড়ের ঘর্ষণে শব্দ শুনতে অসুবিধা হয়।

৩) মিটার স্কেলটি হার্টের সমতলে রাখতে হবে।

৪) অনেক সময় দেখা যায় প্রেশার মাপতে গিয়ে প্রকৃত সিস্টোলিক প্রেশার এবং শব্দ শুনতে পাওয়ার মাঝে একটা গ্যাপ তৈরি হয়। এটাই অসকালটেটরি গ্যাপ। এটা এড়ানোর জন্য সর্ব প্রথমে পালপেটরি মেথডে সিস্টোলিক প্রেশার দেখতে হবে।

কীভাবে দেখবেন?

রেডিয়াল ধমনির উপরে হাত রেখে বস্নাডার ফোলাতে হবে মানে পাম্পার দিয়ে পাম্প করে কাফ ফোলাতে হবে যতক্ষণ না পালস বন্ধ হয়। কবজির ২ সে.মি. নিচে বৃদ্ধা আঙুলের সাইডে আমরা তিন আঙুলের সাহায্যে রেডিয়াল পালস অনুভব করি। রেডিয়াল পালস আর কিছুই না আমরা সচরাচর হাতে যে পালস দেখে থাকি তাই। যেখানে বন্ধ হবে সেটাই সিস্টোলিক।

এরপর আরও ৩০ মি.মি. উপরে মিটার উঠাতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে চাপ কমাতে হবে এবং ব্রাকিয়াল ধমনিতে রক্ত চলাচল করার কারণে সৃষ্ট শব্দ শুনতে হবে। শব্দ যেখানে শুরু হয় সেটা সিস্টোলিক প্রেশার এবং যেখানে শব্দ শেষ হবে তাকে ডায়াস্টলিক প্রেশার বলে।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে