ভাঙা দঁাত কতটুকু ক্ষতিকর

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
দুই বছর আগে মুড়ি খেতে গিয়ে পঞ্চাশোধ্বর্ রহমান সাহেবের ওপরের চোয়ালের পেছনের দিকের দুটি দঁাত ভেঙে যায়। কিন্তু তিনি তাতে ভ্রƒক্ষেপ করলেন না। সমস্যা হলেও এমনিভাবেই দু’বছর কাটিয়ে দিলেন। ধীরে ধীরে ব্যথা শুরু হলো। আর ব্যথা হলেই এমবিবিএস ডাক্তারের কাছ থেকে পাওয়া ব্যথার ওষুধ খেয়েই তিনি আরও বছরখানেক কাটিয়ে দিলেন। এবার হঠাৎ করেই এমন ব্যথা শুরু হলো যে, কোনো ব্যথার ওষুধই কাজে লাগছে না। প্রচÐ ব্যথায় রাতে তিনি ঘুমুতে পারলেন না। দিনে ঠিকমতো অফিস করতে পারলেন না। মুখটা এক পাশে ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। এ অবস্থায় এক অফিস সহকারীর কাছ থেকে জেনে এর সুচিকিৎসার জন্য ডেন্টাল সাজের্নর কাছে গেলেন এবং তখন রহমান সাহেবের দঁাতের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, শেষের দঁাত দুটি ফেলে দিতে হলো। এতে তিনি সারাক্ষণ কষ্ট পাচ্ছেন। কথা হলো, শিক্ষিত মানুষ যদি জেনেশুনে এভাবে ভুল করেন তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ কী করবে? ভাঙা দঁাত দীঘির্দন ধরে ব্যথাহীন অবস্থায় থাকতে পারে। যেমনÑ ¤ দীঘির্দন ধরে দঁাতে ক্যারিজ বা গতর্ থাকলে যা প্রথমদিকে শির শির অনুভ‚তি, ঠাÐা-গরম মুখে নিলে ব্যথা, কখনো বা প্রচÐ ব্যথা হতে পারে। একসময় দঁাতের অভ্যন্তরের দন্ত ধজা তার স্বাভাবিক অনুভ‚তি হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় দঁাত আরও কিছুটা অংশ ভেঙে গেলেও কোনো ব্যথা হয় না। একটি দঁাতের বেশিরভাগ অংশ ক্ষয় হওয়ায় রুট ক্যানেল করার পর ওই দঁাতে ক্যাপ বা ক্রাউন না করা হলে এক সময় ভেঙে যেতে পারে এবং ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। এতেও অনেক সময় ব্যথা অনুভ‚ত হয় না। ¤ হাতুরে ডাক্তারের কাছে দঁাত তোলার পর দঁাতের ভাঙা অংশ হাড়ের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে এবং দেখা যায় সেখানেও কোনো ব্যথা থাকছে না। কিন্তু পরে অবশ্যই সেই রোগীর ব্যথা হবে এবং ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়বে। ভাঙা দঁাত মুখে যেসব সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে : ¤ ভাঙা দঁাতের ভেতরে অবস্থিত দন্তমজ্জায় পচন ধরার ফলে ধীরে ধীরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেজন্য পাশের দঁাতেও সমস্যা হতে পারে। ইনফেকশন বৃদ্ধি পেয়ে মুখের হাড়ে অসটিওমাইলাইটিস জাতীয় জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। ¤ ভাঙা দঁাতের ধারালো অংশের ঘষের্ণ জিভ বা গালের নরম অংশে ঘা হতে পারে। এই ঘা কিছুদিন পর ভালো হয়। আবার আঘাতের ফলে সেই ঘা আবারও জেগে ওঠে। এভাবে কিছুদিন পর পর এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে তা ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।