অন্ডকোষের সমস্যা

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
টেস্টিস হচ্ছে পুরুষ প্রজনন অঙ্গ। এখাানে স্পাম বা শুক্রাণু তৈরি হয় এবং এই স্পামর্ বা শুক্রাণুর সঙ্গে মেয়েদের ডিম্বাণুর মিলনের ফলে সন্তানের জন্ম হয়। এই টেস্টিসের সংখ্যা দুটি। এর জন্ম পেটের ভেতর। টেস্টিসদ্বয় শিশুর মায়ের পেটে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিপের দিকে নামতে থাকে এবং সন্তান ভ‚মিষ্ঠ হওয়ার পূবের্ই অন্ডকোষ (স্ক্রটাম) থলিতে অবস্থান নেয়। টেস্টিস বা অন্ডকোষের কী কী অসুখ হতে পারে : ১। টেস্টিস সঠিক স্থানে না আসা, টেস্টিস অন্ডকোষ থলিতে না এসে পেটে বা অন্য কোনো স্থানে নামার সময় আটকে যেতে পারে। এই ধরনের অসুখের ফলে টেস্টিসের বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে এবং প্রজনন ক্ষতা নষ্ট হয়ে যায়। আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ঝঁুকি বেড়ে যায়। সবোর্পরি টেস্টিসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অতএব, পিতামাতার উচিত এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা এবং অতিসত্বর সাজের্নর শরণাপন্ন হওয়া। কারণ সময়মতো চিকিৎসা করলে টেস্টিসের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে ও ক্যান্সার হওয়া রোধ হয়। চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে টেস্টিসের অবস্থান নিণর্য় করা অথার্ৎ টেস্টিস কোথায় আছে তা নিরূপণ করা এবং সঠিক স্থানে নামিয়ে আনাই হচ্ছে এর আসল চিকিৎসা। ২। টেস্টিসের জন্মের পর যদি সঠিক জায়গায় না থাকে ওই টেস্টিসের টিউমার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে টেস্টিসের টিউমার হতে পারে। টেস্টিসের টিউমার হলেই টেস্টিস হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে। বেশির ভাগ সময়ই কোনো ব্যথা হয় না। টেস্টিসের টিউমার সাধারণত ক্যান্সার হয়ে থাকে। সময়মতো চিকিৎসা না করলে অতি দ্রæত বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যু অনিবাযর্। ৩। হাইড্রোসিল টেস্টিসের দুটি আবরণ থাকে। যদি এই দুই আবরণের মানে জমে তাকে হাইড্রোসিল বলে। বিভিন্ন কারণে টেস্টিসে পানি জমতে পারে। যেমন- (ক) জন্মগত কারণ, (খ) ইনফেকশন (গ) গোদরোগ/ ফাইলেরিয়াসিস (ঘ) টিউমার বা ক্যান্সার ইত্যাদি। হাইড্রোসিল হলে কী জটিলতা হতে পারে: (ক) অনেক বড় হয়ে চলাফেরায় অসুবিধা হতে পারে। (খ) দৈহিক মিলনের প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি করতে। (গ) ক্যান্সারের কারণে হাইড্রোসিল হলে জীবননাশের সম্ভাবনা থাকে। অতএব, সঠিক চিকিৎসার জন্য সাজর্নকে দেখান। ৮। টেস্টিকুলার টরসন : ৫ বছর থেকে ৩০ বছর বয়স পযর্ন্ত টেস্টিসের এই অসুখ হয়। এই রোগে টেস্টিস প্যঁাচ খেয়ে যায়। ফলে এর রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় এবং টেস্টিসের কাযর্ক্ষমতা হারিয়ে জড়বস্তুতে পরিণত হয়। এই রোগে টেস্টিসের হঠাৎ প্রচÐ ব্যথা অনুভ‚ত হয়। দ্রæত এই রোগ নিণর্য় ও চিকিৎসা অতীব জরুরি। তা না হলে টেস্টিস গ্যাংগিন হয়ে যায়Ñ ৫। অরকাইটস বা টেস্টিসের প্রদাহ: ১৪ থেকে ২২ বছর বয়সে এই অসুখ বেশি হয় এতে টেস্টিসের ইনফেকশন হয় এবং প্রচুর ব্যথা ও টেস্টিস ফুলে যায়। রোগীর জ্বর ও প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া হয়। এই রোগের অন্যতম কারণ অবৈধ যৌন সংগম। সঠিক সময় চিকিৎসা না করলে টেস্টিসের কাযর্দক্ষতা নষ্ট হয়ে যায়। ভেরি কোসিল টেস্টিসের রক্তনালির অস্বাভাবিক স্ফীত ও বৃদ্ধির ফলে এই অসুখ হয়। হঁাটা-চলা করলে বা অনেকক্ষণ দঁাড়িয়ে থাকলে টেস্টিসের উপরের রগ ফুলে উঠে এবং শুয়ে থাকলে আবার মিলিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ব্যথাও অনুভব হয়। এ রোগ হলে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। তাছাড়া আরো অনেক অসুখ যেমন স্পামাের্টামমিল ও ইপিডিডাইমাল সিস্ট/ টিবি ইত্যাদি অসুখ ও টেস্টিস হতে পারে। অতএব, টেস্টিসের যে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই জরুরভিত্তিতে সাজের্নর শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক।