সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যে কারণে সন্তান হয় না প্রত্যেক বিবাহিত নারী সন্তানের মুখ দেখতে চায়। কারও গভের্ সন্তান আসে না আবার কারও গভের্ সন্তান এলেও তা নষ্ট হয়ে যায়। বারবার এভাবে সন্তান নষ্ট হলে মায়ের মনে হতাশা নেমে আসে। গভার্বস্থার প্রথম তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই বেশির ভাগ সন্তান নষ্ট হয়। কেন নষ্ট হয় : ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে জেনেটিক বা জন্মগত ত্রæটির কারণে গভের্ সন্তান নষ্ট হয়ে থাকে। অন্যান্য কারণের মধ্যে জরায়ুর গঠনগত ত্রæটি, একাধিকবার এমআর-ডিঅ্যান্ডসি করার কারণে জরায়ুমুখের শিথিলতা, জরায়ুতে টিউমার, গভার্বস্থায় ইনফেকশন, গভর্ফুলের ত্রæটি, ডায়াবেটিস, থায়রয়েড সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, দীঘের্ময়াদি অসুখ, ধূমপান, মদপান, নিষিদ্ধ ওষুধ, অত্যধিক কফি পান, হরমোনের তারতম্য, ভেজাল খাদ্য ও প্রসাধনী, পরিবেশ দূষণ, স্বামী-স্ত্রীর ডিএনএ ত্রæটি ইত্যাদি। স্বামী-স্ত্রীর একই রক্তের গ্রæপ কখনোই বাচ্চা নষ্ট হওয়ার কারণ, বন্ধ্যত্ব বা গভার্বস্থায় জটিলতার জন্য দায়ী নয়। কি কি পরীক্ষা দরকার : প্রজননতন্ত্রের আল্ট্রাসনোগ্রাফি, হিসটেরোসকপি করে জরায়ু ও জরায়ুমুখের গঠনগত ত্রæটি জানা যায়। বিভিন্ন প্রকার রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মায়ের শরীরে সন্তান নষ্ট হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা যায়। স্বামী-স্ত্রীর ডিএনএজনিত কোনো ত্রæটি আছে কিনা তাও নিণর্য় করা যায় প্রতিকার : কারণ নিণর্য় করে চিকিৎসা নিলে বেশির ভাগ মা সন্তান লাভে সফল হতে পারেন। মনে রাখবেন, সন্তান নেয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামশর্ নেয়া জরুরি। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক কানের পদার্ জোড়া লাগানোর চিকিৎসা কানের পদার্ যদি ফুটো হয়ে যায় তা জোড়া লাগানোর পদ্ধতির নাম মাইরিংগোপ্লাস্টি। কানের পদার্য় ফুটা তৈরি হওয়ার প্রধানতম কারণ হলো কানের মধ্যভাগের মিউকো-পেরিঅস্টিয়ামের দীঘর্কালব্যাপী প্রদাহ। (ঈযৎড়হরপ রহভষধসসধঃরড়হ). ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় ক্রনিক সাপোরেটিভ অটাইটিম মিডিয়া (ঈঝঙগ)। যাকে প্রচলিত ভাষায় ‘কানপাকা’ রোগও বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে এ রোগ হতে পারে। যেমনÑ * কানের মধ্যভাগে কোনো ইনফেকশন হলে তা যদি সঠিকভাবে সারিয়ে না তোলা হয়। * শিশু বয়সে ডিপথেরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা হাম হলে তা থেকে এ রোগ শুরু হতে পারে। * কিছু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলেও এ রোগ হতে পারে। * ইউস্টেশিয়ান টিউবে এ যদি কোনো সমস্যা হয়। * যারা দীঘির্দন শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশনে ভুগছেন তাদেরও এ রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ কিছু দিন পরপর আক্রান্ত কান থেকে পুঁজ অথবা পানি জাতীয় পদাথের্র নিঃসরণ। ধীরে ধীরে আক্রান্ত কানের শ্রæতিশক্তি লোপ পাওয়া। কখনো কখনো কানে ব্যথাও হতে পারে। চিকিৎসা : যখন পঁুজ অথবা পানি জাতীয় পদাথের্র নিঃসরণ হতে থাকে তখন কানের পদার্ জোড়া লাগানোর অপারেশন করা সম্ভব হয় না। তাই এ নিঃসরণ বন্ধ করার জন্য আগে চিকিৎসা দেয়া হয়। যখন এ নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়, তখন কানের পদার্ জোড়া লাগানোর অপারেশন ‘মাইরিংগোপ্লাস্টি’ করা হয়ে থাকে। মাইরিংগোপ্লাস্টি কী? এটি হলো কানের পদার্ জোড়া লাগানোর এমন এক পদ্ধতি যেখানে কানের পেছনে অবস্থিত টেমপোরালিস মাসলের ফঁাসা নিয়ে কানের পদার্য় প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি একটি আধুনিক সাইক্রোস্কোপিক অপারেশন যা আগে আমাদের দেশে খুব বেশি হতো না। তবে এখন সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ অপারেশন অহরহই হয়ে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকেও এ অপারেশন হয়। এ অপারেশনে সাফল্যের হার প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। অপারেশন না করা হলে যে ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে, তাহলোÑ * টাইপ-৩ নিউমোক্কাসসহ নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। * বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মাধ্যমে কাযর্কারিতার ওপর প্রতিরোধ সৃষ্টি হওয়া। * ম্যাস্টরেড বোনের ক্ষয় বা স্কে¬রোসিস হওয়া। * কোলেসটিয়েটোমা নামক এক ধরনের পকেট কানের মধ্যভাগে সৃষ্টি হওয়া। এ ছাড়া আরও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক