সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ‘দিল্লি কা লাড্ডু’ খাইলেও পস্তাবেন, না খাইলেও পস্তাবেনÑ এটি বিয়ে নিয়ে বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, যারা দিল্লি কা লাড্ডু খাবেন না তারা সত্যিই পস্তাবেন। এ গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা বিয়ে করেছেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্তের হার কম। অবিবাহিতরা বিবাহিতদের চেয়ে শতকরা ৩৫ ভাগ বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ৪০ বছরের ডাটা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ৪০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় সাড়ে ৪ লাখ নরওয়ে নরনারীর ওপর গবেষণা করে এ তথ্য প্রকাশ করেন গবেষকরা। এতে দেখা গেছে, ১৯৭০-৭৮ সালে অবিবাহিত পুরুষ বিবাহিতদের চেয়ে ১৮ ভাগ ও মেয়েরা ১৭ ভাগ বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। ২০০৫-৭ সালে এসে এ পরিসংখ্যান দঁাড়ায় ৩৫ ও ২২ ভাগে। ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ জানাের্ল এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। বিবাহিতদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেঁচে থাকার হার অবিবাহিতদের চেয়ে বেশি। এ জন্য সঙ্গীর সেবাযতœ, সাহস, ভালোবাসা কাজ করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সূত্র : ইন্টারনেট মাথাব্যথায় ওষুধের সঙ্গে কফি মাথাব্যথার রয়েছে হাজার কারণ। সেই হিসেবে ক্যাফেইন প্রেমিকরা জানে তাদের সকাল বেলা কফি না পান করলে কী ক্ষতি হতে পারে। ফল একটাই প্রচÐ মাথাব্যথা। শিকাগোর ডায়মন্ড হেডেক ক্লিনিকের ডা. সিমুর ডায়মন্ড জানিয়েছেন যে, ক্যাফেইন টেনশন-টাইপ মাথাব্যথার জন্য দারুণ কাযর্কর। একক গবেষণায় ৩০১ জন মাথাব্যথার রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যে, আইবুপ্রæফেন এবং ক্যাফেইনকে যদি যৌথভাবে মাথাব্যথার জন্য ওষুধ হিসেবে দেয়া হয় তা শুধু মাথাব্যথার ওষুধের চেয়ে বেশি কাযর্কর। আরো জানা যায়, যেসব লোক ব্যথার জন্য শুধু আইবুপ্রæফেন জাতীয় ওষুধ খান, তাদের চেয়ে যারা ক্যাপসুল আকারে উল্লিখিত ওষুধটি যৌথভাবে গ্রহণ করেন তাদের মাথাব্যথা সহজেই কমে যায়। সূত্র: ইন্টারনেট উৎসবে আহার রয়েসয়ে বাংলাদেশের মানুষ উৎসবে মেতে উঠবে। শহরের লোক যাবে গ্রামে, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মিলিত হবে। জীবনের দুঃখ-কষ্ট, ঘাত-প্রতিঘাত এসব সয়েও বাঙালিরা উপভোগ করে উৎসবের আনন্দ। এখন ভালো-মন্দ সবাই আহার করে, আর এতে আতিশয্যও থাকে। চিরাচরিত প্রথাও তাই। উৎসবের আহার মানে চবর্-চোষ্য-লেহ্য-পেয়Ñ যার যতটুকু সংগতি। তেল, ঘি, চবির্, মিষ্টান্ন এসব খাবারের আতিশয্য দেখা যায়। খাসি-গরু জবাই হবে, মুরগিও হবে, লাল গোশত খাওয়া হবে অনেক। বিরিয়ানি, রেজালা, কাচ্চি বিরিয়ানি, মোরগ-পোলাও, চিকেন রোস্ট, খাসি-গরুর বাহারি রান্না, লাচ্ছি সেমাই, মিঠাইÑ এসব থাকেই। কথা হলো, উৎসবে আমরা প্রশ্রয় দিই ঠিকই, এক-আধটু খেতে হবে রয়েসয়ে। তবে তা মাত্রার মধ্যে হলে ভালো হয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে, কিডনির অসুখ তাদের চবির্ ও কোলেস্টেরলের মাত্রার মধ্যে আহার না করলে বিপযর্য় হতে পারে। আহারের ব্যাপারে কিছু পরামশর্ দিয়েছে সৌদি ডায়াবেটিস ও এনডোক্রাইন অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, গোশত খাবেন রয়েসয়ে, আহারে ৬ আউন্স রান্না করা মাংসের বেশি নয়, চবির্, গোশত, কলিজা এসব পরিহার করা ভালো। আহারে সীমিত পরিমাণে, অতিভোজন নয়, বেশি আহার নয়, তাহলে পরিপাকতন্ত্র উৎসবে থাকবে ভালো, সুস্থ। মিষ্টি, মিঠাই, শরবত, চবির্বহুল ও নোনা খাবার, চা-কফি কম খেলে ভালো। এসব খাবার অতিরিক্ত খেলে বদহজম হয়। মধ্যাহ্নভোজন বা নৈশাহারে সবজি বা কনর্স্যুপ, মোরগের গোশত বা গ্রিল করা মাছ, এক কাপ ভাত, সেই সঙ্গে সবুজ সালাদ ও ভাপে সেদ্ধ মটরশুঁটি, সবজি ও একটি তাজা ফল। মোরগ পোলাও, বিরিয়ানি, রেজালা, মাছের কালিয়া এসব এ দেশে ঐতিহ্যবাহী খাবারÑ তবে খেতে হলেও সীমিত মাত্রায় খাবেন, যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ বা কিডনির অসুখ এদের জন্য ‘না’ বলাই ভালো খেলেও দুয়েএক টুকরো এক বেলা। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক