ফেসিয়াল কসমেটিক সাজাির্র

মানুষ সুন্দর হওয়ার জন্য আজকাল কত কিছুই না করছে। হাজার হাজার বছর আগে মিসরের মহিলারা বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস ব্যবহার করত। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে বিভিন্ন পিরামিডে রাখা মমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। শুধু কসমেটিকসে নয়, তখনকার আমলে বিশেষ ধরনের পাথর ঘষেও মুখে ত্বকের সৌন্দযর্ বৃদ্ধি করার ইতিহাসও পাওয়া যায়...

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
মানুষ সুন্দর হওয়ার জন্য আজকাল কত কিছুই না করছে। হাজার হাজার বছর আগে মিসরের মহিলারা বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস ব্যবহার করত। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে বিভিন্ন পিরামিডে রাখা মমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। শুধু কসমেটিকসে নয়, তখনকার আমলে বিশেষ ধরনের পাথর ঘষেও মুখে ত্বকের সৌন্দযর্ বৃদ্ধি করার ইতিহাসও পাওয়া যায়। শুধু হলিউড, বলিউড তারকারাই নন, এখন সবাই সৌন্দযর্সচেতন। দেহের কোথাও বিশেষ করে মুখে যখন বয়সের ছাপ পড়তে থাকে তখন অনেকেই প্লাস্টিক ও কসমেটিক সাজের্নর শরণাপন্ন হয়। আমাদের দেশেও কসমেটিক সাজাির্রর ব্যবস্থা আছে। যদি মন ঠিক করেন সাজাির্র করবেন তবে প্রথমেই কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। কথা বলতে হবে অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানের সঙ্গে, যিনি আপনার মুখের ধরন ভালো বুঝবেন। তবে বিজ্ঞাপন দেখে প্রলোভনে জড়াবেন না। এখন বিজ্ঞাপন বাজারের ভিড়ে মানুষ আসল নকল বুঝতে খুব বিপাকে পড়ে যান। বিজ্ঞাপনের মিষ্টি কথার বুলিতে নিজেকে হারিয়ে না ফেলে কোথায় কসমেটিক সাজাির্র ভালো করা হয়, আগে থেকে সেখানে খেঁাজ নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। যেসব পদ্ধতি দিয়ে ফেসিয়াল সৌন্দযর্ বৃদ্ধি করা যায় ঋধপবষরভঃ ঙঢ়বৎধঃরড়হ : এ ধরনের অপারেশনে রোগীর মুখের কুঁচকে যাওয়া ত্বক টানটান করে দেয়া হয়। কানের ঠিক সামনে ও নিচে ওহপরংরড়হ দিয়ে বাড়তি কুঁচকে যাওয়া ত্বক নতুনভাবে টানটান করে বসিয়ে দেয়া হয়। এটি একটা মেজর অপারেশন এবং অপারেশনের পর রোগীর মুখমÐলে বেশ কিছু দিন ছোপ ছোপ দাগ ও ফুলে থাকা বোঝা যায়। দুই থেকে চার সপ্তাহ পযর্ন্ত মুখে কমপ্রেশন ব্যান্ডেজ লাগিয়ে রাখতে হয়। মুখের ফোলা ভাবটা যখন কমে যায় (প্রায় এক মাস) তখন রোগী এ অপারেশনের সুফলটা দেখতে পায়। কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ বছর বয়সের ছাপ তার কমে যায়। ঞযৎবধফ ঋধপবষরভঃ : ইদানীংকালে প্লাস্টিক ও কসমেটিকস সাজর্নরা বিনা অপারেশনেই ঋধপবষরভঃ করতে থাকেন। এখানে কোনো কাটাকাটির প্রয়োজন হয় না। বিশেষ ধরনের সুতার মাধ্যমে কুঁচকে যাওয়া ত্বক টেনে দেয়া হয়। এ সুতা সুচের মাধ্যমে ত্বকের ঠিক নিচে পরিয়ে দেয়া হয় এবং সাজর্ন প্রয়োজনমাফিক টেনে দিয়ে মুখে বয়সের ছাপ অতি সহজেই দূর করে দেন। এতে রোগীকে পুরো অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না। অবশ্য ত্বক বেশি কুঁচকে গেলে ঋধপবষরভঃ ড়ঢ়বৎধঃরড়হ করিয়ে নেয়াটাই ভালো। ঋরষষবৎ ওহলবপঃড়রহ : এটিও একটা অত্যাধুনিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ডৎরহশষবংং ভরাট করে নেয়া যায়। ঠিক ভঁাজের মধ্যে ওহলবপঃরড়হ-এর মাধ্যমে ঋরষষবৎ লবষ ত্বকের গভীরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের ঋরষষবৎ ঔবষ পাওয়া যায়। যথাÑ জবংঃুষবহব, ঐুষধভড়ৎস, ঐুফৎড়মবষ ইত্যাদি। এগুলো এক ধরনের রাসায়নিক পদাথÑর্ যা পিউরিফাই করে ঔবষ আকারে বাজারজাত করা হয়। এগুলোর কোনো পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া নেই বলে আজকাল অহরহ ব্যবহার হচ্ছে। অবশ্য প্রথম আমলের ঋরষষবৎ রহলবপঃরড়হ গরু থেকে নেয়া পড়ষষধমবহ দিয়ে তৈরি করা হতো। এতে মাঝেমধ্যেই অ্যালাজির্ক রিঅ্যাকশন হতো বলে এর প্রচলন আজকাল প্রায় উঠেই গেছে। এ পদ্ধতিতেও মুখের কঁুচকে যাওয়া ত্বক তাৎক্ষণিকভাবেই সমান হয়ে যায়। দুয়েএক বছর পরপর এ ধরনের রহলবপঃরড়হ-এর মাধ্যমে অনেকেই তাদের মুখের যৌবনের ছাপ ধরে রাখতে পারছে। ইড়ঃড়ী : এটি একটি ইনজেকশন পদ্ধতি, যার মাধ্যমে মুখের বিভিন্ন জায়গায় বলিরেখা মুছে দেয়া যায়। ইড়ঃড়ী হচ্ছে এক ধরনের ঘবঁৎড়ঃড়ীরহ যেটা কুঁচকে যাওয়া ত্বকে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। এতে মুখমÐলের ছোট ছোট মাংসপেশিগুলো আংশিকভাবে প্যারালাইজড হয়ে যায় এবং ত্বকের ওপর ঃৎধপঃরড়হ বভভবপঃ কমে যায়। এর কারণে মুখের ভঁাজগুলো তখন আর দেখা যায় না। ইড়ঃড়ী রহলবপঃরড়হ-এর কাযর্কারিতা বছরখানেকের মাঝে আস্তে আস্তে কমতে থাকে তাই কসমেটিক সাজর্নরা রোগীর মুখমÐল সম্পূণর্ মসৃণ রাখার জন্য এ রহলবপঃরড়হ কয়েক বছর পরপর দিয়ে থাকেন। গরৎপড়ফবৎসধনৎধংরড়হ : এটিও একটি ঘড়হ ঝঁৎমরপধষ পদ্ধতি যার মাধ্যমে মুখে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনা যায়। সূ² বলিরেখাগুলো গরপৎড়ফবৎস দিয়ে মুছে দেয়া যায়। এ পদ্ধতিতে ধারালো এক ধরনের পাউডার স্প্রে (অষঁসরহরঁস ড়ীরফব পৎুংঃধষং) দিয়ে ত্বকের বাইরের স্তর ংঃৎধঃঁস পড়ৎহবঁস কেটে ফেলা হয়। এর সঙ্গে হাই প্রেশার সাকশনের মাধ্যমে এ আবজর্না ও ব্যবহৃত পাউডার সরিয়ে ফেলা হয়। যেহেতু ত্বকের ভেতরের স্তরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না সেহেতু রোগীর এখানে কোনো ব্যথা পায় না। সূ² বলিরেখাগুলো এতে ক্রমান্বয়ে চলে যায়। কিন্তু ংশরহ ভড়ষফং (ভারি বলিরেখা) এ পদ্ধতিতে উপকৃত হয় না। সেটা উপরোল্লিখিত পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমেই ঠিক করাতে হয়। খধংবৎ : এটি একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি যা দিয়ে মুখমÐলের ত্বক মসৃণ ও টানটান করা যায়। এ বিশেষ ধরনের আলোকরশ্মি দিয়ে চিকিৎসা করা হলে ত্বকের গভীরে যে পড়ষষধমবহ থাকে সেগুলো ভেঙে দেয়া হয়। কিছু দিনের মধ্যেই পড়ষষধমবহ-গুলো নতুনভাবে গঠিত হতে থাকে একে পড়ষষধমবহ ৎবসড়ফবষষরহম বলা হয়। এর ফলে মুখের ত্বক ক্রমান্বয়ে মসৃণ ও টানটান হতে থাকে। তাই এ পদ্ধতিকে আমরা খধংবৎ ৎবলঁারহধঃরড়হ বলি। উল্লেখ্য যে, একজন রোগীর মুখে একাধিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা প্রয়োজন হতে পারে এবং অভিজ্ঞ কসমেটিক সাজর্ন একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করেই সাধারণত মুখমÐলের বয়সের ছাপ সফলভাবেই দূর করতে পারেন। এ চিকিৎসায় বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। ধানমÐির কসমেটিক সাজাির্রতে মুখের বয়সের ছাপ দূর করার এসব পদ্ধতি অতি সফলতার সঙ্গে নিয়মিতই হচ্ছে।