ঠাÐা ও সদির্-কাশি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
শীতকাল মানেই ঠাÐা লাগা, সদির্-কাশি! এমন ভুল ধারণা অনেকের মনেই। এগুলো থেকে বঁাচতে নানা আচরণে পরিবতর্ন আনা হয়, বলা হয়, এগুলো করা যাবে না। এমন অনেক কিছু ‘মিথ’ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তেমনই কিছু ভুল ধারণা ভেঙে দিয়েছেন গবেষণার মাধ্যমে। ভিটামিন ‘সি’ বেশি বেশি ভিটামিন ‘সি’ ঠাÐাকে দূরে রাখেÑ এ রকম একটা ধারণা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তবে আসল ঘটনা হলোÑ ভিটামিন ‘সি’ যত বেশিই পান করা হোক না কেন প্রয়োজনের বেশি টুকু শরীর থেকে ইউরিনের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। বেশি ভিটামিন ‘সি’ বেশি ভালোÑ এ রকম কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি। চুমু খেতে মানা স্বামী বা স্ত্রীÑ যে কোনো একজনের সদির্-কাশি বা ঠাÐা লাগলে অন্যজন শত ইচ্ছে থাকা সত্তে¡ও ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে খানিকটা দূরে থাকে, যাতে সে নিজেও যেন অসুস্থ না হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনুভ‚তিতে চুমু খাওয়ার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। কাজেই সদির্-কাশিতেও চুমু খেতে বা জড়িয়ে ধরতে কোনো বাধা নেই। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান যে কোনো ইনফেকশন বা সংক্রমণ রোগকে দূরে রাখার প্রথম শতর্ই হলো হাত ধোয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। তবে তাই বলে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান হতে হবে তা নয়। বরং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান হাতের ত্বক ও পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে। শীতকালে কি তাড়াতাড়ি সদির্-কাশি হয় অনেকেরই ধারণা, শীতকালে গ্রীষ্মকালের চেয়ে তাড়াতাড়ি ঠাÐা লেগে সদির্-কাশি হয়, তবে তা ঠিক নয়। তবে গরমকালের ভাইরাস শীতকালের ভাইরাস থেকে আলাদা এ কথা ঠিক। আর সে জন্যই কিছুটা অন্যরকম সচেতনতা অবলম্বন করতে হয় বৈ কি! আজ কাশি, কাল অসুস্থ একটু কাশি হলেই মানুষ অসুস্থ হয় নাÑ যদি না কারো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে। তবে কারো শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুবর্ল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলেই কেবল হ্যান্ডশেক, তাদের রুমাল ব্যবহার করা, জড়িয়ে ধরাÑ এসবের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। তবে কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট থাকলে ভয়ের কোনো কারণ নেই। অসুস্থ অবস্থায় ব্যায়াম খেলাধুলা বা ব্যায়াম করা ভালো তা সবাই জানে। অনেকেই ভাবেনÑ অসুস্থ হলে বা ঠাÐা লাগলেও ব্যায়াম করলে সেরে যাবে, যা পুরোপুরি ভুল ধারণা। ঠাÐা লাগলে বা সদির্-কাশি হলে বিছানায় ঠিক মতো বিশ্রাম নিলেই তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা সম্ভব। সদির্-কাশি থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণ ঠাÐা লাগা আর ইনফ্লুয়েঞ্জা দুটোকে অনেকে গুলিয়ে ফেলেন। দুটোর ভাইরাস দু’রকম। তবে সদির্-কাশির ভাইরাস থাকা অবস্থায় ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসও হতে পারে।