ফিসার বা ফাটলযুক্ত জিহŸা

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
ফিসারযুক্ত জিহŸা বা ফিসারড টাং খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে রোগী প্রাথমিক অবস্থায় আতঙ্কের মধ্যে থাকে। ফিসারড টাং বা ফিসারযুক্ত জিহŸা অন্য যেসব নামে পরিচিত তা হলোÑ (ক) স্করটাল জিহŸা (খ) লিংগুয়া প্লিকেটা (গ) প্লিক্যাটেড টাং এবং (ঘ) ফারোড টাং বা জিহŸা। ফিসারযুক্ত জিহŸায় একের অধিক খঁাজকাটা দাগ বা ফিসার দেখা যায়। জিহŸার উপরিভাগের খঁাজগুলো বা ফাটলগুলো অগভীর বা গভীর হতে পারে। ফিসারগুলো জিহŸার উপরিভাগে দেখতে পাওয়া যায়। জিহŸায় ফিসার বা গ্রæভ অথার্ৎ নিচু স্থানগুলোর গভীরতার ক্ষেত্রে তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে গভীর ফিসার ৬ মিলিমিটার পযর্ন্ত হতে পারে। সাধারণ মানুষ ফিসারযুক্ত জিহŸায় ফাটল গতের্র মতো দেখতে পেয়ে চমকে ওঠে এবং ক্যান্সার আতঙ্কে ভুগতে থাকে। রোগ নিণর্য় না হওয়ার কারণে সাধারণ জনগণের অযথা অনেক অথর্ নষ্ট হয়। ফিসারযুক্ত জিহŸার কোনো কারণ খঁুজে পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় এটি জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। ফিসারড টাং বা জিহŸা অনেক সময় জিওগ্রাফিক টাং বা জিহŸার সঙ্গে একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। ফিসারযুক্ত জিহŸা মেলকারসন রসেনথাল সিনড্রোমের ক্ষেত্রেও দেখতে পাওয়া যায়। তবে এটি বিরল। ক্রমোজোমাল সমস্যার জন্য ডাউনস সিনড্রোমের মাঝেমধ্যে ফিসারযুক্ত জিহŸা দেখতে পাওয়া যায়। ফিসারযুক্ত জিহŸার রোগ নিণের্য়র জন্য বায়োপসি প্রয়োজন হয় না। ফিসারযুক্ত জিহŸার সাধারণ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে মুখের স্বাস্থ্য খুব ভালো রাখতে হবে। জিহŸার উপরিভাগে ব্রাশ করা যেতে পারে, যাতে জিহŸার ফিসার বা খঁাজে অথার্ৎ ফাটলযুক্ত স্থানে কোনো প্রকার খাদ্যদ্রব্য জমে না থাকে। জিহŸা পরিষ্কার করে রাখলে কোনো প্রদাহ দেখা যায় না। মুখেও কোনো দুগর্ন্ধ সৃষ্টি হবে না। কারণ খাদ্যদ্রব্য ফিসার বা গ্রæভ তথা ছোট গতর্ আকৃতির স্থানে জমে থাকবে না। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে ফিসারযুক্ত জিহŸার সঙ্গে ফলেট প্যাপিলার প্রদাহ দেখা যায়Ñ যা ফলেট প্যাপিলাইটিস নামে পরিচিত। জিহŸার ফলেট প্যাপিলার প্রদাহ ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি, ওরাল ক্যান্সার, মুখের ঘা এবং লিউকোপ্লকিয়ার কারণেও হতে পারে। তাই এ অবস্থায় জরুরি চিকিৎসা নিতে হবে। ফিসারযুক্ত জিহŸার সাধারণ ক্ষেত্রে কোনো চিকিৎসা নিতে হবে না। তবে হ্যঁা, কোনো প্রকার জটিলতা দেখা দিলে বা সন্দেহজনক কিছু মনে হলে আপনার ডাক্তারের পরামশর্ নিন।