জীবনঘাতী রোগ এইডস

প্রকাশ | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
মানব ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাধি এইডস। এ রোগ সবর্প্রথম ১৯৮১ সালে আমেরিকায় ধরা পড়ে। এ পযর্ন্ত ১৭৩টি দেশে এইডস বিস্তার লাভ করেছে। প্রায় দুই কোটি পুরুষ-মহিলা ও শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এইডস কী : এইডস একটি জীবনঘাতী রোগ। হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস নামক বিশেষ এক ধরনের ভাইরাস এইডস রোগের কারণ। এ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। বিশেষ পাথর্ক্য : এইডস রোগের ভাইরাস শরীরে প্রবেশের ৮-১০ বছর পযর্ন্ত কোনো প্রকার লক্ষণ দেখা দেয় না। আক্রান্ত ব্যক্তি এ দীঘর্ সময় স্বাভাবিক সামাজিক জীবনযাপন এবং কাজ কমর্ করতে পারে। তবে সে সবার অজান্তে অন্যদের মাঝে বিশেষ পদ্ধতি এইচআইভি ভাইরাস ছড়াতে থাকে। এইডস রোগের লক্ষণ : দীঘির্দন ধরে অবিরাম ডায়রিয়া যা ভালো হয় না। * অনেক দিন ধরে জ্বর এবং সদির্ থাকে। * অতিরিক্ত কাশি, নিউমোনিয়া এবং ফুসফুস ও ত্বকের প্রদাহ থাকে। * রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। * শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। * শরীরের বিভিন্ন স্থানের গ্রন্থি ফুলে যায় এবং ঘা ও ক্যান্সার হয়। এইডস কীভাবে ছড়ায় : এইডস ভাইরাস ব্যক্তির সঙ্গে দৈহিক সম্পকের্র মাধ্যমে। * এইডস ভাইরাসযুক্ত ইনজেকশনের সুচ, সিরিঞ্জ এবং অপারেশনের যন্ত্রপাতি সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে। * এইডস আক্রান্ত মায়ের গভের্ সন্তান জন্মগ্রহণ করলে। এইডস যেভাবে ছড়াতে পারে না : এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা, কাজকমর্ করলে এ রোগের কোনো আশঙ্কা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়, বিছানাপত্র, থালাবাসন ব্যবহার নিরাপদ। হঁাচি, কাশি, বাতাস, পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে করমদর্ন করলে বা মুখমÐলে চুম্বন করলে ভাইরাস ছড়ায় না। মশা বা অন্য কোনো পোকামাকড় কামড়ালে এ রোগ ছড়ায় না। এইডস প্রতিরোধের উপায় : ধমীর্য় অনুশাসন মেনে কেবল স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পকর্ বজায় রাখুন। পতিতালয়ে গমন থেকে বিরত থাকুন। ইনজেকশনের জন্য ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন। অপারেশনের যন্ত্রপাতি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। যদি কোনো মা এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে হয় বা সন্দেহ থাকে তাহলে সন্তান ধারণ থেকে বিরত থাকুন।