সৌন্দযের্ কসমেটিক সাজাির্র

প্রকাশ | ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
কসমেটিক সাজাির্র হচ্ছে সেই সাজাির্র, যা শরীরের সৌন্দযর্ বাড়িয়ে তোলে কিংবা হারানো সৌন্দযর্ ফিরিয়ে আনে। সে জন্য এর অন্য নাম অ্যাসথেটিক সাজাির্র। সবাই নিজেকে সুন্দর করতে প্রসাধনের সাহায্য নেয়। কিন্তু প্রসাধন যেখানে পারে না, সেখানে প্রয়োজন কসমেটিক সাজাির্রর। ছোটবেলায় ‘স্মল পক্স’ বা কৈশোরে ‘ব্রণ’ হয়ে মুখে অসংখ্য দাগ কিংবা বয়সের প্রভাবে কারও ত্বক বুড়িয়ে গেছে, অজস্র বলিরেখায় ভরে গেছে মুখ অথবা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মেদ জমে সৌন্দযর্ ঝরে গেছে। কসমেটিক সাজাির্র এখানে ফিরিয়ে দিতে পারে হারানো সৌন্দযর্। সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি যা বিদেশে প্রায়ই ব্যবহৃত হচ্ছে, তা হলো লেজাররশ্মির ব্যবহার। এ ধরনের যন্ত্র এখন বাংলাদেশে সহজলভ্য। মেদ কমাতে : মেদ সৌন্দযের্র একটা প্রধান অন্তরায়। মেদ কমানোর জন্য উপযুক্ত ডায়েটিং কিংবা ব্যায়াম করা দরকার। অনেক সময় খিদে কমানোর ওষুধও দেয়া হয়। এতে মেদ না কমলে সাজাির্রর কথা ভাবতে হবে। সাধারণভাবে মোটা হওয়া ছাড়াও অনেক সময় দেখা যায়, বয়স বাড়লে শরীরের কিছু কিছু স্থানে চবির্স্তর জমে গিয়ে বিশ্রীভাবে ফুলে থাকে। এভাবে ত্বকের নিচের চবির্স্তরেই সমতা এনে স্বাভাবিক সৌন্দযর্ ফিরিয়ে আনা হয়। বলিরেখা : ত্বকের বলিরেখায় ত্বক বুড়িয়ে যায়, কারণ ত্বকের ইলাসটিসিটি নষ্ট হয়ে যায়। প্রখর সূযের্র আলো বা চড়া বৈদ্যুতিক আলোর নিচে বেশি সময় কাটানো, বয়সের প্রকোপে অতিরিক্ত প্রসাধন ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ত্বকের ইলাসটিসিটি কমে যায়। ত্বক কুচকে যায়। ত্বকে বলিরেখা পড়ে। প্রখর রোদ বা আলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। কসমেটিক সাজাির্রর সাহায্যে ত্বকের এসব ভঁাজ, বলিরেখা অনেকটা দূর করা যেতে পারে। কেমিক্যাল অ্যাব্রেশান, ডামাের্ব্রশান বা কোলাজেন ইমপ্লান্ট করা যেতে পারে। প্রয়োজনে ফেস লিফট অপারেশনের সাহায্যে মুখের ত্বককে স্বাভাবিক করা যেতে পারে। মাথায় টাক : মাথায় টাক পড়া অনেকেই ঠিক মেনে নিতে পারেন না। তারা একে সৌন্দযর্হানির কারণ বলে মনে করেন। প্রথমেই সাজাির্র নয়, ওষুধ খাইয়ে বা লাগিয়ে চুল গজানোর চেষ্টা করানো উচিত। ভালো ফল না হলে, মাথা ফঁাকা ফঁাকা হয়ে গেলে তবেই ট্রান্সপ্লান্টেশন করা যেতে পারে। শ্বেতি, পোড়া দাগ : শ্বেতি, পুড়ে গিয়ে বা অন্য কোনো কারণে ত্বকে সাদা দাগ হলে কসমেটিক সাজাির্র করা সম্ভব। সব ধরনের শ্বেতিতে অবশ্য এটা প্রযোজ্য নয়। অনেক দিন ধরে যদি ত্বকের কোনো অংশে কেবল একটা বা দ্ইুটা ছোট শ্বেতি থাকে এবং আকারে কোনো পরিবতর্ন না হয়, আবার ওষুধে কোনো ফল হচ্ছে না, তাহলে কসমেটিক সাজাির্রর কথা ভাবা যেতে পারে। তিলে সূ² সাজাির্র : তিল বা জড়–ল সারাতে অনেকরকম পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। সূ² সাজাির্র করে তিল কেটে বাদ দিয়ে নিখুঁতভাবে ত্বকজুড়ে দেয়া যেতে পারে। ইলেকট্রোসাজাির্র, ক্রায়োসাজাির্র বা লেজার প্রয়োগ করেও তিল সারানো যেতে পারে।