শীতে শরীর সতেজ রাখার খাবার

শীতকাল মানেই কম্বলের মধ্যে থেকে আলতো উঁকি, কুয়াশামাখা ভোর, ঘাসের ডগায় শিশিরের পরশ, হিমেল হাওয়া, মিষ্টি রোদ্দুর, এর সঙ্গে গরম গরম খাবার এবং পানীয়!

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শীতকাল কার না ভালোলাগে! শীতকাল মানেই পিকনিক, নানান জায়গায় ভ্রমণ। শীতকাল মানেই কম্বলের মধ্যে থেকে আলতো উঁকি, কুয়াশামাখা ভোর, ঘাসের ডগায় শিশিরের পরশ, হিমেল হাওয়া, মিষ্টি রোদ্দুর, এর সঙ্গে গরম গরম খাবার এবং পানীয়! তবে এ সময়ের কিছু নেতিবাচক দিকও আছে, যেমন- শীতকালে ত্বকে ফাটল ধরে, সর্দি-কাশি, ভাইরাল ফ্লু, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য ইনফেকশন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই শরীরের যত্নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে শীত উপভোগ করার জন্য যেসব খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। পালংশাক শরীর সুস্থ রাখতে টাটকা সবুজ শাকসবজি আমাদের সব সময়ই খাওয়া উচিত। বিশেষত, শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে শাকসবজি খাওয়া উচিত। পালংশাক আমাদের শরীরের অত্যন্ত উপকারী। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। মাছ, মাংস ও ডিম মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং জিঙ্ক থাকে- যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। মাংসে আয়রন থাকে- যা শরীরকে গরম রাখে। মাছ, মাংসের পাশাপাশি দুধ, ডিম এবং পনির ভিটামিন বি-১২ এর দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন বি-১২ ক্লান্তি দূর করে। ভিটামিন সি খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু, টমেটো, লাল মরিচ এবং সাইট্রাস ফলের মতো খাবার যুক্ত করুন। কারণ এগুলোতে ভিটামিন সি রয়েছে- যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত, আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তবে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাশরুম মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে মাশরুম খুব উপকারী। তাই শীতের খাবার হিসেবে আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই মাশরুম রাখুন! মধু জ্বর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু সবচেয়ে উপকারী বন্ধু। শীতের খাবার হিসেবে মধুর কোনো জুড়ি নেই। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। ঘুমানোর আগে বা সকালের নাশতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। ভালো হয় এক গস্নাস গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও। ঘি ও মাখন ঘি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ঘিয়ে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে শীতকালে এটি দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়। মাখনেও ক্যালরি থাকে- যা দেহের তাপমাত্রাকে ঠিক রাখে। বাদাম কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, ভিটামিন এবং ফ্যাটি এসিড থাকে- যা আমাদের ত্বক ভালো রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়। এছাড়াও বাদাম হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, দেহের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আদা ও রসুন যে কোনো খাবারের স্বাদ বাড়াতে আদা ও রসুন যে একাই একশ' তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি এগুলো আমাদের শরীরকে গরম রাখে ও কোলেস্টেরল কমায়। সর্দি-কাশি ও হাঁপানি প্রতিরোধ করে। রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা খাওয়াও উপকারী। ডার্ক চকোলেট চকোলেট খেতে কে না ভালোবাসে! এটি ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়, দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়, মানসিক অবসাদ দূর করে। গ্রিন টি গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শীতের দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক