ভুঁড়ি হওয়া ঠেকাতে চান?

মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কেউই চান না তার সুন্দর দেহের সঙ্গে একটি ভুঁড়ি যোগ হোক। আগে যদিও ভুঁড়ি হওয়াকে ধরা হতো সুখী মানুষের লক্ষণ হিসেবে, কিন্তু বতর্মানের প্রেক্ষাপটে ভুঁড়িকে বাদ দিলেই দেহে সৌন্দযর্ বৃদ্ধি হয়। সে জন্য নিজের দেহে যারা একখানা ভুঁড়ি যোগ করতে চান না, তারা অনেকেই অনেক পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। বিশেষ ডায়েট, ব্যায়াম, পরিমিত খাওয়া, ইত্যাদিসহ আরও অনেক কিছু করে থাকেন অনেকে মুটিয়ে যাওয়া থেকে বঁাচতে। তার পরও ভুঁড়ি যেন বাধা মানে না। তাহলে দেখে নিন কিভাবে নিজের দেহে একটি বিচ্ছিরি ভুঁড়ি যোগ করা থেকে বঁাচতে পারেন তার উপায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে ভুঁড়ি হওয়ার প্রথম ধাপ। খাবারে যদি অনেক কম ফাইবার ও তরল থাকে এবং কম শারীরিক পরিশ্রম হয়, তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। যার ফলাফল পেটে ভুঁড়ি হওয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই শরীরে ভুঁড়ি দেখতে না চাইলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন। দিনে মহিলাদের জন্য ২৫ গ্রাম ও পুরুষদের জন্য ৩৮গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত। অঁাশযুক্ত ফল, শাকসবজি ও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ৬-৮ গøাস তরল জাতীয় খাবার পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এবং অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করবেন। ব্যায়াম করতে পারলে ভালো হয়। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করবেন। দ্রæত খাবার খাবেন না খাবার খুব দ্রæত খেলে এবং ভালো মতো চিবিয়ে না খেলে খাবারের সঙ্গে বাতাসও পেটে প্রবেশ করে। এতে করে আপনার পেট বাড়ে অথার্ৎ ভুঁড়ি হয়। দ্যা ফ্লেক্সিটেরিয়ান ডায়েটের লেখক ব্রাউন জ্যাকসন বলেন, খাবার অতি দ্রæত খাবেন না, ভালো মতো চিবিয়ে খান। মনে রাখবেন খাবার হজম হওয়ার প্রকিয়াটি মুখের থেকেই শুরু হয়। আপনি যত চিবিয়ে খাবেন তত হজমের সুবিধা হবে ও আপনার পেটে ফ্যাট কম জমা হবে। কোমল পানীয় বেশি খাবেন না যারা কোমল পানীয় বেশি খান তারা খুব সহজে নিজের দেহে একটি ভুঁড়ি যোগ করে থাকেন। কোমল পানীয়ের কাবর্ন-ডাই অক্সাইড পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে ও পেটেই রয়ে যায়। এই গ্যাস না বের হওয়ার ফলে ভুঁড়ি হয়। যতটা সম্ভব কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। তার পরিবতের্ লেবুর সরবত খান। আর যদি ভুঁুড়ি কমাতে চান তবে আজকে থেকেই পুদিনা চা পান করা শুরু করুন। চিনি এড়িয়ে চলুন চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করেÑ যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। সুতরাং চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। চিনির পরিবতের্ খাবারে অন্য উপায়ে মিষ্টি খাবেন। যেমন মধু কিংবা ডায়েট চিনি। কিংবা সুগার ফ্রি খাবার খেতে চেষ্টা করুন। একবারে বেশি খাবেন না ভুঁড়ি হওয়ার জন্য যে কাজটি সবচাইতে বেশি দায়ী তা হলো একবারে বেশি খাওয়া। একবারে বেশি খেলে খাবার হজম হতে বেশি দেরি হয় এবং এতে করে পেটে বেশি ফ্যাট জমা হয়। যার ফলশ্রæতিতে ভুঁড়ি হয়। চেষ্টা করুন খেতে বসলে অল্প খেতে। দিনে ৪/৫ বার খান কিন্তু অল্প পরিমাণে। এতে খাবার দ্রæত হজম হবে ও পেটে ফ্যাট জমবে না। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক