অতিরিক্ত ওজন ও ক্যান্সার

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
আপনি সব সময় শুনে এসেছেন যে অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং আরও অনেক অসুখ ঘটাতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়? ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষকরা সন্দেহ করে আসছেন যে শারীরিক ওজনের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পকর্ রয়েছে। বতর্মানে তারা প্রমাণ পেয়েছেন কীভাবে শারীরিক ওজন ক্যান্সার ঘটায়। শরীরের অতিরিক্ত চবির্ শুধু সেখানে বসে থাকে না, সেটা তন্ত্রে সক্রিয় পরিবতর্ন ঘটিয়ে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়াকে সহজ করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, চবির্ কোষগুলো বুকে হরমোহনসহ শারীরিক বৃদ্ধি ঘটানো বস্তুগুলোর নিঃসরণ ঘটাতে দ্রæত কাজ করে। এসব বস্তু শরীরের বিভিন্ন কোষে সঙ্কেত পাঠিয়ে দ্রæত কোষের বিভাজন ঘটায়। এভাবে যত্রতত্র কোষ বিভাজন বেড়ে যায় এবং তা ক্যান্সারের সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে যে ক্যান্সার ঘটে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেখানে সেক্স হরমোন ইস্কোজেন এবং টেসটোসটেরনের একটা সম্পকর্ রয়েছে। এসব ক্যান্সার হলো স্তন, অ্যান্ডোমেট্রিয়াম এবং প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার। উদাহরণস্বরূপ, মনোপজ পরবতীর্ মহিলার স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে মহিলার ওজন অনেক বেশি। গবেষকরা বিশ্বাস করেন, মোটা মহিলারা মেনোপজের পরে অবিরাম কিছু ইস্ট্রোজেন টেরি করে যান, যা তাদের ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন হয় না, উৎপন্ন হয় তাদের চবির্কলা থেকে। আর একজন মহিলার সারা জীবনে বেশি ইস্ট্রোজেন নিঃসৃত হওয়া মানে তার স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়া। সেক্স হরমোহন একমাত্র দোষী হরমোহন নয়। শরীরের অতিরিক্ত চবির্ ইনসুলিনের মাধ্যমেও ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভ‚মিকা রাখে। ইনসুলিন হরমোন খাদ্যকে শক্তিতে পরিণত করে। অতিরিক্ত ওজনের লোকদের কোষগুলো কখনো কখনো ইনসুলিনের প্রতি কম সংবেদনশীল হয়। এর মানে হলো রক্ত থেকে চিনি অপসারণ করতে শরীরকে বেশি ইনসুলিন উৎপন্ন করতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ইনসুলিন কোষের বিভক্তি ঘটায় এবং এভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিনের এ ব্যাপারটি যেসব মোটা লোকের ঘটে, তাদের সাধারণত অন্ত্রের ক্যান্সার হয়। কারণ অন্ত্রের কোষগুলো শরীরের অন্যান্য কোষের দ্রæত বিভক্ত হয়। চবির্ কোষ দ্রæত বড় হবে ততবেশি ইনসুলিন উৎপন্ন হবে, আর ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বেড়ে যাবে।