স্স্নিম হওয়ার শল্য চিকিৎসা পদ্ধতি

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
কারও শরীরের কোনো জায়গায় অতিরিক্ত চর্বি দেখা যায় বা অতিরিক্ত চর্বির কারণে তলপেট উঁচু হয়ে থাকে। এ জাতীয় সমস্যা অনেক সময় সমাধান করা হয় সার্জিক্যাল পদ্ধতি বা লাইপোসাকসন পদ্ধতির মাধ্যমে। অ্যায়েসথেটিকস ভাষায় এটিকে বডি সেপিং পদ্ধতিও বলা হয়। সাধারণত ওজন কমানো হয় ডায়েটিং ও এক্সারসাইজের মাধ্যমে। তবে অনেকে সার্জিক্যাল অপারেশনের মাধ্যমে শরীর থেকে চর্বি ফেলে দিয়ে ওজন কমিয়ে থাকেন। আর ওজন কমানোর সার্জিক্যাল এই পদ্ধতিকেই লাইপোসাকসন বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে শরীরের যে জায়গা থেকে চর্বি বের করতে হবে, সেখানে আধা ইঞ্চি জায়গা অবশ করে একটি সরু নল ঢুকিয়ে মেশিন দিয়ে টেনে চর্বি বের করা হয়। ০৩ থেকে ০৫ ঘণ্টায় ৩ থেকে ৫ কেজি চর্বি বের করা হয় (যদি চর্বি থাকে)। অপারেশনের পর ৩ দিন বাসায় বিশ্রাম নিতে হয়। অজ্ঞান করতে বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না। শরীরের যে স্থানগুলো থেকে চর্বি বের করা হয়: ১. পেট ও কোমর, ২. থাই, ৩. ব্রেস্ট ও ৪. আর্ম বা হাত। লাইপোসাকসনের মাধ্যমে শরীরের বাড়তি চর্বি কমাতে এসে রোগীরা সাধারণত যে প্রশ্নগুলো করে জানতে চায় তাহলো- হ লাইপোসাকসন পদ্ধতিটি কি? এটি হলো স্কিনের নিচের চর্বি মেশিনের মাধ্যমে টেনে বের করার পদ্ধতি। হ টি এল লাইপোসাকসন কি? টিউমেসসেন্ট লোকাল লাইপোসাকসকে টি এল লাইপোসাকসন বলে। অর্থাৎ অপারেশনের স্থান অবশ করার ওষুধ দিয়ে ফুলিয়ে ফেলা হয়। হ খুব বেশি ব্যথা হয় কি? না, অপারেশনের সময় ব্যথা হয় না, অপারেশনের পরে অতি সামান্য ব্যথা হতে পারে; সেজন্য পেইন কিলার দেয়া হয়, যাতে রোগী ব্যথা অনুভব না করেন। হ সাইড এফেক্ট আছে কি? সাইড অ্যাফেক্ট নেই, তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে করতে হবে। হ শরীরের কোথায় কোথায় করা যায়? পেট, কোমড়, ব্রেস্ট, থুতনি, আর্ম (হাত), থাই (উরু)। হ অজ্ঞান করতে বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় কিনা? অজ্ঞান করতে বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না। লাইপোসাকসনের পর রোগী নিজ বাসায় চলে যাবেন। হ বিশ্রামে থাকতে হয় কিনা? ১ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। পরবর্তী ২ দিন বাসায় হাঁটাচলা যাবে। ৪র্থ দিন থেকে স্বাভাবিক কাজ করা যাবে। ১০ দিন পর থেকে ভারী কাজসহ সবধরনের কাজ করা যাবে। হ লাইপোসাকসনের সঙ্গে সঙ্গে কি অপারেশনের জায়গা সিস্নম হয়ে যাবে? না, অপারেশনের জায়গা সিস্নম হতে ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে। হ কত কেজি বের করা হয়? স্থানভেদে ১/২ থেকে ৫ লিটার পর্যন্ত ফ্যাট বের করা হয় হ কত কেজি ওজন কমবে? যত লিটার ফ্যাট বের করা হবে সাধারণত: তার দ্বিগুণ পর্যন্ত ওজন কমে, তবে ওজন কমানোর জন্য লাইপোসাকসন না করানোই ভালো। হ আবার চর্বি জমা হতে পারে? ওজন না বাড়লে কখনোই আর নতুন করে চর্বি জমা হবে না। হ ওজন না বাড়ার উপায় কি? ডায়েটিং ও এক্সসারসাইজ ওজন না বাড়ার উপায়। হ প্রেগনেন্ট হতে অসুবিধা হবে কি? প্রেগনেন্ট হতে অসুবিধা হবে না। হ ব্রেস্টে লাইপোসাকসনের পর ব্রেস্ট ফিডিং এ অসুবিধা হবে কি? লাইপোসাকসন শুধু ফ্যাট কমায়; গস্নান্ড কমায় না ফলে ব্রেস্ট ফিডিং এ অসুবিধা হবে না। হ কোনো বয়সের সীমা আছে কি? ১৬ থেকে ৭০ বছর। লাইপোসাকসনের পর স্কিন ঝুলে যাবে না। স্কিনের নিজস্ব ইলাসটিসিটি আছে, তাছাড়া আমরা বাইন্ডার সাপস্নাই দেই। তাই ঝুলে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। হ লাইপোসাকসনের পর ছিদ্রগুলোর কি হবে? লাইপোসাকসনের পর ছিদ্রগুলো মিলিয়ে যাবে, অথবা ছোট দাগ থাকতে পারে। লাইপোসাকসনের পর করণীয় দ্ব প্রচুর তরল খাবার খাবেন দ্ব ১ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে দ্ব পরবর্তী ২ দিন বাসায় হাঁটাচলা করা যাবে দ্ব ৪র্থ দিন থেকে স্বাভাবিক কাজ করা যাবে দ্ব ১০ দিন পর থেকে ভারী কাজসহ সবধরনের কাজ করা যাবে দ্ব প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খাবেন দ্ব শোয়া অবস্থায় বেন্ডেজ চেঞ্জ কববেন দ্ব ২ দিন ধূমপান ও মদ্য পান করা যাবে না। অপারেশনের পূর্বে যা করতে হবে দ্ব যেহেতু এটি দীর্ঘ সময়ের অপারেশন, তাই সময়মতো ক্লায়েন্টকে আসতে হয়। দ্ব ভরা পেটে অপারেশন করতে হয়। দ্ব ঢিলাঢালা জামাকাপড় পরিধান করতে হয়। দ্ব অতিরিক্ত ১ সেট কাপড় সংগ্রহে রাখতে হয়।