আপনার সোনামণি খাওয়া-দাওয়া

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
আপনার ছোট্ট সোনামণি যখন আগ্রহ করে পেটপুরে খায় তখন কতই না ভালো লাগে আপনার। কিন্তু যখন খেতে না চায় তখন? ভীষণ বিচলিত হন আপনি। ধমকে ধমকে, ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। আসলে শিশুদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে আমরা অধিকাংশই কিছু ভুল পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকি। যেমন- অনেককেই দেখা যায় পাঁচ মাসের কম বয়সী শিশুদের চামচে করে বা ফিডারে করে পানি খাওয়াতে চেষ্টা করেন। এটি একটি অপ্রয়োজনীয় কসরত। পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট এর বাইরে এক ফোঁটা পানিও প্রয়োজন নেই। বরং এ সময় শিশুদের পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করলে শ্বাসনালিতে পানি ঢুকে শিশুদের ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ মা-ই শিশুর খাওয়ার পরিমাণ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কিন্তু মনে রাখবেন আপনার শিশুর ক্ষুধা পেলে সে অবশ্যই আপনাকে জানান দেবে। ক্ষুধার্ত শিশুকে খাওয়ার জন্য সাধতে হয় না। জোর করে খাওয়াতে গেলে শিশুর খাওয়ার প্রতি অনীহা, বিতৃষ্ণা এবং ভীতির সৃষ্টি হয়। অনেকেই কান্নারত শিশুর মুখে খাবার তুলে দেন। এ অত্যন্ত বিপজ্জনক। শ্বাসনালিতে খাবার আটকে মারাত্মক জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। চব্বিশ ঘণ্টায় শিশুর ছয় ও তার অধিকবার প্রস্রাব হলে বুঝবেন আপনার শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পাচ্ছে। আর নিয়মিত ওজন করে গ্রোথ চার্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেই বুঝবেন শিশুর বৃদ্ধি ঠিক আছে কিনা। ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি যে আলগা খাবার খাওয়াবেন সে ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। নরম সবজি খিচুড়ি এ সময়ের জন্য আদর্শ। ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবারে অভ্যস্ত করে তুলবেন তবে কতটুকু খাবে তা সম্পূর্ণ ছেড়ে দিন শিশুর সিদ্ধান্তের ওপরই।