গর্ভাবস্থায় শিশুর মেধা বিকাশে মায়ের খাদ্য

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মা ও সন্তানের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। ডাক্তার পুষ্টিবিদ আয়েশা সিদ্দিকার পরামর্শ অনুযায়ী, গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাস থেকে সপ্তম মাস আয়রন, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, বি-কমপেস্নক্স ইত্যাদি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া প্রয়োজন। কেননা, এই জাতীয় খাবার গর্ভবতী মা বেশি খেলে বাচ্চার মেধা ও পুষ্টিমান বৃদ্ধি পাবে। ডিম: ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-কমপেস্নক্স যা বাচ্চার মেধা বিকাশে সহায়তা করে। অনেক মায়েরা আছে যারা গর্ভকালীন খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না। তারা ডিমকে বিভিন্ন আইটেমে বানিয়ে খেতে পারে। এই অবস্থায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। দৈনিক খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো অবশ্যই রাখতে হবে। বাচ্চার মেধা বিকাশের জন্য এই খাবারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ : ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে দুধ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-অ, ভিটামিন-উ এবং প্রোটিন যা গর্ভের শিশুর শারীরিক গঠন ও মেধা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাদাম : সব মায়েরা খাবার বেশি খেতে পারে না তারা অনায়াসে বিভিন্ন বাদাম কিসমিস খেতে পারে। ফলমূল এই অবস্থায় সব সময় খেতে হবে এতে বাচ্চার পুষ্টিরমান বৃদ্ধি পাবে। গরুর মাংস : গরুর মাংস বাচ্চার পুষ্টমান ও মেধা বিকাশে অধিক সহায়ক। গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন বি-কমপেস্নক্স, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে। এক্ষেত্রে, সাপ্তাহিক খাদ্য তালিকায় ২-৩ দিন গরু মাংস রাখা যেতে পারে। এতেও বাচ্চার মেধা বিকাশে অধিক সহায়তা পাওয়া যাবে। মিষ্টি কুমড়া: মিষ্টি কুমড়ার সু্যপ গর্ভের বাচ্চার ব্রেনের জন্য অনেক উপকারি। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া ও বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। সুতরাং, গর্ভকালীন সময়ে ফ্যাট জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। মাছ : শিশু ও মায়ের সমান পুষ্টি পূরণের জন্য সবচেয়ে অধিক ও কার্যকারী প্রোটিন যুক্ত খাবার হলো মাছ। যা শিশু ও মায়ের দুইজনের সমান পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। বিভিন্ন রঙিন ফলমূল ও শাকসবজি : বিভিন্ন রঙিন ফলমূল ও শাকসবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে। শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড- যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের যথাযথ বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি মেরুদন্ডের কোষে বিকশিত হয়ে থাকে। ফলমূল শিশুর বিকাশে খুবই সহায়ক। ফলে র?য়েছে বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন- যা গর্ভজাত শিশুর বিকাশের জন্য কার্যকরী খাদ্য। গর্ভবতী মায়ের যা জরুরি : গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা, ব্যায়াম ও বিশ্রামের জন্য সঠিক দিক-নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত থাকা খুবই জরুরি। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা বজায় রাখলে সেটি শুধু যে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে তা নয়। পাশাপাশি মানসিক দিক দিয়েও প্রফুলস্নতা আনবে। গর্ভাবস্থার পরবর্তী সময়ে পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা মেনে খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা জীবনের অন্য সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের খাদ্য তালিকা: প্রতিটি শিশুর জন্য মা হচ্ছে একটি বটবৃক্ষের ন্যায় আশ্রয়স্থল। একজন মায়ের কাছে সন্তান নিজেকে নিরাপদ মনে করে। মায়ের স্নেহ ভালোবাসায় শিশুটি পৃথিবীতে বেড়ে ওঠে। মা যখন সন্তান গর্ভে ধারণ করে তখন মায়ের শরীরের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। মায়ের যত্নের পাশাপাশি বাচ্চার যত্ন সহকারে বেড়ে ওঠা এবং বাচ্চার পুষ্টির দিক বিবেচনায় রাখতে হবে। এই সময় খাবারের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। কি খেলে বাচ্চা স্বাস্থ্য ভালো হবে, কি খেলে বাচ্চা পুষ্টিমান ঠিক থাকবে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মায়ের জন্য ক্ষতিকর তেমনি পুষ্টিহীনতাও বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। তাই, এই অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের খাবারে প্রতি অধিক নজর দিতে হবে। \হ \হ