শিশুর বয়সভিত্তিক বৃদ্ধি

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
শিশুর বাহ্যিক বৃদ্ধি দেখে অনেক সময়ই আমরা বুঝতে পারি শিশুটির মানসিক ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শিশুর ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ পূর্ণ বৃদ্ধি লাভ করতে পারে। এর একদম নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও একটা সীমারেখা আছে। নিচে তার কিছু উলেস্নখ করা হলো- তিন মাস : শিশুকে এ সময় পিঠে বালিশ দিয়ে বসিয়ে দিলে সে সোজা হয়ে বসে থাকতে পারে, মাথা বা ঘাড় কাত হয়ে পড়ে যায় না। নিজের হাত নাড়িয়ে তা সে লক্ষ্য করে, চোখ ঘুরিয়ে সব কিছু লক্ষ্য করতে চায়, শব্দ শুনলে মাথা ঘুরিয়ে তাকাতে চায়। এ সময় সে তার মাকে ভালোভাবেই চিনতে পারে। ছয় মাস : এ সময় শিশু হাত দিয়ে তার খাবার বোতলটি ধরতে পারে, নিজে নিজেই উপুড় বা চিৎ হয় এমনকি হামাগুড়ি দেয়া শিখে ফেলে, বসিয়ে দিলে কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই বসে থাকতে পারে এমনকি খেলনা এক হাত থেকে অন্য হাতে নিতে পারে। এ সময় শিশু তার নিজের নাম ধরে ডাকলে বুঝতে পারে এবং তাকায়, কেউ কথা বললে সেদিকেও সে তাকাতে পারে, মাথা ঘুরিয়ে সব কিছু সে দেখতে চায়। মুখ ও ঠোঁট দিয়ে অস্পষ্ট শব্দ করতে শেখে। এক বছর : ৯ মাস বয়সেই শিশু কোনো শক্ত একটা কিছু ধরে দাঁড়িয়ে যেতে চায় এবং কখনো কখনো পারেও। ১ বছর বয়সে সে নিজেই শোয়া অবস্থা থেকে উঠে বসে এবং শক্ত কিছু ধরে নিজে নিজেই হাঁটা শুরু করে দেয়। নিজে নিজে একা একা খেলা, কোনো কিছু প্রয়োজন হলে ইশারায় তা দেখিয়ে দেয়া এসবও সে তখন ভালোই পারে। শিশুকে এ সময় কোনো নির্দেশ দিলে সে টুকটাক বুঝতে পারে এবং তা মানতে চেষ্টা করে। এ সময় সে বেশ কিছু পরিচিত অর্থবোধক শব্দ বলতে শেখে। দেড় বছর : শিশু এ সময় হাঁটতে হাঁটতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে এমনকি উলটো দিকেও হাঁটতে পারে। হাঁটার সময় হাতে একটা খেলনা ধরে রাখাটাও তার অভ্যাসে এসে যায়। নিজে নিজে কাপে করে দুধ খাওয়া, টয়লেটের প্রয়োজন হলে দেখিয়ে দেয়া কিংবা শরীরের ৩-৪টা অঙ্গ চিনে তা বলা এসব সে ভালোই পারে এতদিনে। ছবির বই এনে দিলে তা দেখে বেশ মজাও করতে শেখে। পরিচিত শব্দগুলো মিলিয়ে এক-আধটা পূর্ণ বাক্য বলে স্বজনদের আনন্দের খোরাক হতে তার বেশ ভালোই লাগে এ সময়। দুই বছর : এ সময় শিশুটি চায় সবাই তার প্রতি মনোযোগী হোক, মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকাটাই তার যত বাসনা। বেশ দক্ষতার সঙ্গে দৌড়াতে শেখে সে এ সময়, পথের দু-একটা বাধা ডিঙিয়ে চলাতেও পারদর্শী হয়ে ওঠে। দরজার হাতল ঘুরিয়ে খুলে ফেলা, নিজে নিজে জামাকাপড় পরে ফেলা কিংবা নাম ধরে ৪-৫টা খেলনা চেয়ে বসতে পারে। দেখিয়ে দিলে কাগজে আঁকতে পারে লম্বা দাগ। এ সময় প্রায় গোটা পঞ্চাশেক অর্থবোধক শব্দ তার শব্দভান্ডারে জমা হয় এবং তা দিয়ে সে কথাবার্তা ভালোই চালিয়ে যেতে পারে।