স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজের স্তনের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশিরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। অথচ শরীরের আর দশটি অঙ্গের মতো স্তনের যত্ন নেয়াটাও জরুরি। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর আমাদের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের কারণে স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটাও হয়ে পড়ে জরুরি। জেনে নিন স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় কিছু কাজ। ১) ব্যবহার করুন সঠিক মাপের ব্রা আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। সময়ের সঙ্গে ব্রা সাইজ চেঞ্জ হতে পারে এ কারণে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। ২) মাঝেমধ্যে ব্রা ছাড়াই থাকুন বাড়িতে ব্রা ছাড়াই থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর অনেকটা শান্তি পাবে। মাঝেমধ্যে স্পোর্টস ব্রা পরেও থাকতে পারেন। ৩) মাসাজ করুন শুধু হাত-পা নয়, রক্ত চলাচল বজায় রাখতে মাঝেমধ্যে স্তন মাসাজ করতে পারেন। ৪) নিজে থেকেই পরীক্ষা করুন নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করলে ক্ষতি কোথায়? কোনো রোগ আপনার স্তনে বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানতে মাঝেমধ্যে স্তন পরীক্ষা করুন নিজেই। স্তনে কোনো রকম পরিবর্তন দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন। ৫) স্বাস্থ্যকর খাবার খান মধ্যবয়সে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এ সময় থেকেই বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত। এতে সারা শরীরের পাশাপাশি আপনার স্তন থাকবে সুস্থ। ৭) ধূমপান নিষিদ্ধ খুব কম সময়েই আমাদের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান। এর পাশাপাশি স্তন ঝুলে যাওয়ার কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে ধূমপান। সুতরাং নিজের শরীর ভালো রাখতেই বাদ দিন এই বিশ্রি অভ্যাসটি। কমিয়ে ফেলুন ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রাও। ৮) ব্যায়াম করুন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরকে ফিট রাখতে করুন ব্যায়াম। স্তনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য করতে পারেন এই ব্যায়ামগুলো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে কমে যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি। ৯) ম্যামোগ্রাম একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্তনসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে বার্ষিক স্তন পরীক্ষা বা ম্যামোগ্রাম করান যাতে কোনো রোগ থাকলে তা শনাক্ত করা যায় দ্রম্নত। তবে পারিবারিক ইতিহাস না থাকলে ম্যামোগ্রাম না করিয়ে সাধারণ ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন। ১০) থাকুন ইমপস্ন্যান্ট এবং কেমিক্যাল থেকে দূরে ব্রেস্ট ইমপস্ন্যান্ট এবং এনহান্সিং কেমিক্যালগুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন। ১১) ব্রেস্ট ফিডিং করান আপনি মা হয়ে থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।