স্তনে ব্যথা বা ব্রেস্ট পেইন

স্তনে ব্যথা তুচ্ছ কারণে হতে পারে আবার মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সারের জন্যও হতে পারে। স্তনে ব্যথা হলে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে আরম্ভ করে দাম্পত্য জীবনেও বিগ্নতার সৃষ্টি করে। এমন কি কখনো কখনো মানসিক বিপর্যয়ও ঘটতে পারে।

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
মেয়েদের স্তনে ব্যথা একটি কমন উপসর্গ। বয়ঃসন্ধিকাল হতে মৃত্যর পূর্ব পর্যন্ত মেয়েদের কখনো না কখনো স্তনে ব্যথা হয়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্তনে ব্যথা অতি তুচ্ছ কারণে যেমন হতে পারে আবার মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সারের জন্যও হতে পারে। স্তনে ব্যথা হলে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে আরম্ভ করে দাম্পত্য জীবনেও বিগ্নতার সৃষ্টি করে। এমন কি কখনো কখনো মানসিক বিপর্যয়ও ঘটতে পারে। সে জন্য স্তনে ব্যথা হলে অবহেলা না করে কারণ অনুসন্ধান করে যথাযথ চিকিৎসা নেয়া উচিত। স্তনে ব্যথা কেন হয়? ফাইব্রোএডিনোসিস : এখানে হরমোনজনিত কারণে ব্রেস্ট পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ঘটে এবং ছোট ছোট চাকা (নডিউল) ও সিস্টের সৃষ্টি হয় এবং ব্যথা হয়। মেস্টাইটিস/স্তনের প্রদাহ : স্তনে প্রদাহ বা ইনফ্রেমশনকে মেস্টাইটিস বলে। এটা সাধারণত বাচ্চা বুকের দুধ খাওয়ার সময় হয়ে থাকে অর্থাৎ ব্রেস্ট ফিড মায়ের হয়ে থাকে। এখানে ব্যথার সঙ্গে জ্বর ও ক্ষুধামন্দা থাকে। স্তনে এবসেস বা ফোরা : ব্রেস্টে প্রচন্ড ব্যথা হয় ও জ্বর হয় এবং স্তনের চামড়া লাল হয়ে যায়। অপারেশন এ ক্ষেত্রে জরুরি। স্তনে ক্রনিক ইনফেকশন : যেমন টিভি, একটিনোমাইকোসিস ইত্যাদি অসুখ হলেও ব্যথা হতে পারে। স্তন ছাড়া : চেস্ট ওয়ালের অসুখের জন্য স্তনে ব্যথা হতে পারে। স্তনে টিউমার বা ক্যান্সার হলেও ব্রেস্ট পেইন হতে পারে। মানসিক অবসাদ : স্তন ও চেস্ট ওয়াল ছাড়া মানসিক অবসাদ গ্রস্ততার কারণেও স্তনে ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় মানসিক সাহায্য বা সাপোর্ট জরুরি। রোগ নির্ণয়: ভালোভাবে ইতিহাস নেয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে স্তনের ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় সম্ভব। রোগীর কাছে জানতে হবে য় স্তন ব্যথা মাসিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা মাসিক চক্র সম্পর্কহীন। য় রোগীকে এ মর্মে আশ্বস্ত করা এটা ক্যান্সার নয় এবং সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে যাবে। য় স্তনে সিস্ট হলে এসপিরেশন করতে হবে। য় স্তনে চাকা হলে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হবে। য় ব্রেস্টে ফোরা হলে অপারেশন করতে হবে। য় বেস্ট্রে কিছু না পাওয়া গেলে মানসিক সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি। ব্রেস্টে ব্যথা হলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও যথাযথ চিকিৎসার জন্য সার্জনকে দেখান।