সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাথাব্যথার চিকিৎসা মাথাব্যথার সাময়িক চিকিৎসার জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। কখনো কখনো শক্ত এনালজেসিক্স ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। মাইগ্রেন রোগীদের প্রতিষেধক হিসেবে দুশ্চিন্তা কমার ওষুধ (যেমন-ইন্ডেভার, ট্রেনকুলাইজার, পিজোটিফেন ইত্যাদি)। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ ধরনের ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করলে আবার মাথাব্যথার পুনরাবৃত্তি ঘটে। দীর্ঘমেয়াদে ওষুধ ব্যবহার করলে মাথাব্যথার তীব্রতাও অ্যাটাকের হার আস্তে আস্তে কমে যায় এবং এক সময় ব্যথামুক্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে ওষুধের ব্যবহারের কারণে মাথাব্যথা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে ওষুধ বন্ধ করে বিকল্প ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যদি দীর্ঘমেয়াদে মাথাব্যথা থাকে এবং তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় তাহলে মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে কোনো টিউমার আছে কিনা সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক ব্যথানাশে ডালিম বিজ্ঞানীরা ডালিমের নাম রেখেছেন 'সুইস আর্মি নাইফ' অর্থাৎ সুইডেনের সৈন্যদের ছুরির নামে। কারণ তাদের ছুরি যেমন কোনো দুশমন দেখলে থেমে থাকে না। তেমনি এ ডালিমও মানবদেহের কোনো ব্যথা বেদনা দেখলে চুপ করে থাকে না। তাকে নির্বংশ করে দেয়। সম্প্রতি ব্রিটেনের একদল গবেষক জানালেন, ব্যথানাশক ওষুধ আবিষ্কারের আগে এ ডালিমই ছিল যা প্রাচীনকালে মানুষ ব্যথা উপশমে ব্যবহার করত। শুধু ব্যথার উপশমই নয়, ডালিম হৃদযন্ত্রকে রাখে সুস্থ এবং রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং ক্যান্সারও বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে আমাদের নিরাপদ রাখে। গবেষকরা এ প্রথম ডালিম নিয়ে গবেষণা করলেন এবং পুরোপুরি আস্থার সঙ্গেই জানালেন এর উপকারিতা। ব্যথানাশে ডালিমের সফল কার্যকারিতাই তাদের গবেষণার ফল। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক অতিরিক্ত ওজন ও ক্যান্সার আপনি সব সময় শুনে এসেছেন যে অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং আরো অনেক অসুখ ঘটাতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়? ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষকরা সন্দেহ করে আসছেন যে শারীরিক ওজনের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে তারা প্রমাণ পেয়েছেন কীভাবে শারীরিক ওজন ক্যান্সার ঘটায়। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি শুধু সেখানে বসে থাকে না, সেটা তন্ত্রে সক্রিয় পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়াকে সহজ করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, চর্বি কোষগুলো বুকে হরমোহনসহ শারীরিক বৃদ্ধি ঘটানো বস্তুগুলোর নিঃসরণ ঘটাতে দ্রম্নত কাজ করে। এসব বস্তু শরীরের বিভিন্ন কোষে সঙ্কেত পাঠিয়ে দ্রম্নত কোষের বিভাজন ঘটায়। এভাবে যত্রতত্র কোষ বিভাজন বেড়ে যায় এবং তা ক্যান্সারের সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে যে ক্যান্সার ঘটে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেখানে সেক্স হরমোন ইস্কোজেন এবং টেসটোসটেরনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এসব ক্যান্সার হলো স্তন, এন্ডোমেট্রিয়াম এবং প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সার। উদাহরণস্বরূপ, মনোপজ পরবর্তী মহিলার স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে মহিলার ওজন অনেক বেশি। গবেষকরা বিশ্বাস করেন, মোটা মহিলারা মেনোপজের পরে অবিরাম কিছু ইস্ট্রোজেন টেরি করে যান, যা তাদের ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন হয় না, উৎপন্ন হয় তাদের চর্বিকলা থেকে। আর একজন মহিলার সারা জীবনে বেশি ইস্ট্রোজেন নিঃসৃত হওয়া মানে তার স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়া। সেক্স হরমোহন একমাত্র দোষী হরমোহন নয়। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের মাধ্যমেও ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ইনসুলিন হরমোন খাদ্যকে শক্তিতে পরিণত করে। অতিরিক্ত ওজনের লোকদের কোষগুলো কখনো কখনো ইনসুলিনের প্রতি কম সংবেদনশীল হয়। এর মানে হলো রক্ত থেকে চিনি অপসারণ করতে শরীরকে বেশি ইনসুলিন উৎপন্ন করতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ইনসুলিন কোষের বিভক্তি ঘটায় এবং এভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিনের এ ব্যাপারটি যেসব মোটা লোকের ঘটে, তাদের সাধারণত অন্ত্রের ক্যান্সার হয়। কারণ অন্ত্রের কোষগুলো শরীরের অন্যান্য কোষের দ্রম্নত বিভক্ত হয়। চর্বি কোষ দ্রম্নত বড় হবে ততবেশি ইনসুলিন উৎপন্ন হবে, আর ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বেড়ে যাবে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক