মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য গড়ার খাবার

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
বয়সের সঙ্গে শরীরের সব অংশের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে, মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। তবে কিছু খাবার এই প্রক্রিয়াকে রোধ করতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়ার হার কমানো সম্ভব। এ জন্য খাদ্যাভ্যাসে কোন পুষ্টি উপাদানগুলো থাকা উচিত সেটাও জানিয়েছে সাইটটি। ভিটামিন-ই শরীরের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যেসব খাবারে ভিটামিন-ই থাকে সেগুলোতে আরও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিশক্তি এবং বয়সের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষয়রোধ করে। অলিভ ওয়েল, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখী, কুমড়ার বীজ এবং সবধরনের বাদাম ভিটামিন-ই'য়ের আদর্শ উৎস। \হ সবুজ শাক 'ফোলাট'য়ের আদর্শ উৎস হলো সবুজ শাক। যা রক্তে 'হোমোসিস্টেইন' নামক অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। 'হোমোসিস্টেইন' মস্তিষ্কের স্নায়ু ধ্বংস করে। প্রচুর পরিমাণে ব্রম্নকলি, পালংশাক ইত্যাদি সবুজ শাক-সবজি খেলে স্নায়ু ধ্বংস রোধ করা সম্ভব হবে। জাম ও চেরিজাতীয় ফল বেশিরভাগ জাম ও চেরিজাতীয় ফল, বিশেষত কালোজাম, বস্নুবেরি, স্ট্রবেরি শরীরের জন্য বিষাক্ত আমিষ অপসারণে সহায়ক, বোস্টনে অনুষ্ঠিত আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির 'ন্যাশনাল মিটিং'য়ে এই তথ্য জানানো হয়। আরও জানা যায়, এই বিষাক্ত আমিষ সময়ের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার জন্য দায়ী। এই ফলগুলো উপস্থিত বুদ্ধি বাড়াতেও সহায়ক। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলো নিউরনের কার্যক্ষমতা এবং শারীরিক ক্ষিপ্রতা বাড়াতে উপকারী। ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম প্রধান উৎস মাছ। তবে, শাকাহারিরা ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন মেটাতে বেছে নিতে পারেন ভোজ্য শৈবাল, সামুদ্রিক শৈবাল ও অন্যান্য সামুদ্রিক সবজি।