গরমে থাকুন স্বস্তিতে

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
আবহাওয়ার চরমভাব ও গরমে স্বস্তি নেই কারও। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, কলেরা, হিটস্টোক, ঘামাচিসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। একটু সচেতন হলেই আরামে ও স্বস্তিতে থাকতে পারেন এ গরমেও। এ জন্য মেনে চলতে হবে কিছু টিপস। গরমে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি ও লবণ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে দেখা দেয় পানি শূন্যতা ও হিটস্টোক। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। লবণের ঘাটতি পূরণে ওরস্যালাইন পান করতে পারেন বা এক গস্নাস পানিতে ১ চিমটি লবণ দিয়ে পান করুন। লক্ষ্য রাখুন পানি যেন বিশুদ্ধ হয়। দূষিত পানি ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়ের কারণ হতে পারে। গরমের সময় নদীর পানি এমনই দূষিত থাকে, এই পানি শোধন করার পরও ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ব্যাপারে সচেতন হন। পানি কমপক্ষে ১০ মিনিট ফুটিয়ে পান করুন। হ্যালোট্যাব, ফিটকিরি দিয়েও পানি বিশুদ্ধ করা যায়। বাসার বাইরে বেরুনোর সময় এক বোতল পানি নিতে ভুলবেন না। রাস্তাঘাটে বা যত্রতত্র পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। রাস্তায় ফলের জুস বিক্রির নামে রঙ দেয়া পানি, রাস্তার পাশের খাবার, আখের রস, আগে থেকে কেটে রাখা ফল খাবেন না 'এগুলো ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। গরম আবহাওয়ার কারণে খাবার দ্রম্নত নষ্ট হয়ে যায়। খাবার রান্না করার পর বেশিক্ষণ রাখবেন না। ১-২ ঘণ্টার মধ্যে রান্না করা খাবার খান। ফ্রিজের খাবার খেলেও অনেকক্ষণ গরম করে খান। বাইরে থেকে এসেই ফ্রিজের ঠান্ডাপানি পান করবেন না। এতে গলাব্যথা, ঠান্ডা, জ্বর ও সর্দি হতে পারে। গ্রীষ্মকালে প্রচুর ফল পাওয়া যায়। এ ফলগুলো বেশি করে খেতে পারেন। বেলের শরবত, তরমুজ, ফুটি বা বাঙ্গির শরবত পানি শূন্যতার হাত থেকে রক্ষা করে। চা-কফি শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। গরমের সময় চা-কফি কম পান করাই ভালো। ফার্স্টফুড ও চর্বি জাতীয় খাবার কম খান। খাবারে বাড়ান শাক-সবজি। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, শার্ট, পাঞ্জাবি যাই পরেন না কেন, এ সময় সুতির কাপড় পরাই বুদ্ধিমানের কাজ। পোশাকের রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত হালকা ও সহনীয় রঙগুলো বেছে নিন। গোলাপি, লেমন, ব্রাউন, সাদা, অফহোয়াইড, আকাশি প্রভৃতি রঙের পোশাক গায়ে জড়াতে পারেন। আঁটসাঁট জামা-কাপড়ের পরিবর্তে ঢিলেঢালা কাপড় পরা ভালো। গ্রীষ্মকালে প্রখর সূর্যালোকে বাইরে গেলে চোখে সানগস্নাস পরবেন। রোদে বের হলে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। এ প্রসঙ্গে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার বলেন, সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক রোদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার সানস্ক্রিনের সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর যেন ৩০ এর বেশি হয়। গরমে ত্বকে তৈলাক্ত পদার্থ বেশি নিরসরণ হয়। তৈলাক্ত পদার্থ ঘাম ও ধুলাবালির সঙ্গে মিশে ঘর্মগ্রন্থির মুখগুলো বন্ধ করে দেয়। ত্বকে বেড়ে যায় ব্রণ, ঘামাচি। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রতিদিন সকাল ও রাতে ক্ষারমুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার রাখতে পারেন। বাকি সময় শুধু পানি দিয়ে মুখ ধুলে চলবে। নিয়মিত গোসল করুন। ভ্যাপসা গরমের দিনগুলোয় আপনার শিশুর সঠিক যত্ন নিন। শিশুকে ঘামাচি আরর্ যাশ থেকে দূরে রাখতে খোলামেলা পরিবেশে রাখুন। প্রয়োজনে পাউডার ব্যবহার করুন। তবে ঘর্মগ্রন্থিগুলো যেন বন্ধ হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশুকে প্রচুর পানি পান করান।