টেস্টিকুলার টিউমার

নীরব ঘাতক ব্যাধি

টেস্টিস বা অন্ডকোষ হচ্ছে পুরুষ প্রজনন অঙ্গ। এখানে স্পার্ম বা শুক্রাণু তৈরি হয় এবং এ স্পার্ম বা শুক্রাণুর সঙ্গে মেয়েদের ডিম্বাণুর মিলনের ফলে সন্তানের জন্ম হয়। এ টেস্টিসের সংখ্যা দুটি। এর জন্ম পেটের ভেতর। টেস্টিসদ্বয় শিশুর মায়ের পেটে বেড়ে ওঠার সঙ্গে নিচের দিকে নামতে থাকে। এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই অন্ডকোষ থলিতে অবস্থান নেয়।

প্রকাশ | ০৮ মে ২০১৯, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
টেস্টিকুলার টিউমার টেস্টিসে বিভিন্ন প্রকার টিউমার হতে পারে যেমন- সেমিনোমা, ২. টেরা টোমা, ৩. লিমফোয়ামা ইত্যাদি। টেস্টিকুলার টিউমার কেন হয় ১. বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টিউমারের সঠিক কারণ জানা যায়নি। ২. টেস্টিস জন্মের পর যদি সঠিক স্থানে না আসে যেমন পেটের ভেতর যদি অবস্থান করে। সেই ক্ষেত্রে টেস্টিসের টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। টেস্টিসের টিউমার হলে কীভাবে বুঝবেন ক. টেস্টিসের অস্বাভাবিকভাবে বড় হওয়া। খ. স্টেস হঠাৎ ফুলে যাওয়া। গ. বেশির ভাগ সময় ব্যথা থাকে না। ঘ. ছোট বাদাম আকার থেকে কোকোনাট সাইজ পর্যন্ত হতে পারে। ঙ. কখনো কখনো প্রচন্ড ব্যথা নিয়েও আসতে পারে। চ. দূরবর্তী স্থানে ছড়াইয়া পড়তে পারে যেমন- পেটে, গলায়, ফুসফুসে ইত্যাদি স্থানে। ছ. স্তন ফুলে যেতে পারে। জ. পেটে চাকা এবং টেস্টিস অন্ডকোষ থলিতে আসেনি। চিকিৎসা হরমোন পরীক্ষা এবং বায়োপসির মাধ্যমে কনফার্ম করে নিতে হবে। কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি এ রোগের আসল চিকিৎসা। অপারেশনই এ রোগের চিকিৎসা। মনের রাখবেন প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার ফলাফল খুবই ভালো। উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনার নিজের মাঝে বিরাজ করে তাহলে জরুরি ভিত্তিতে অভিজ্ঞ সার্জনকে দেখান। য়