বুক ব্যথার কারণ

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বুকে ব্যথা এক ধরনের জটিল সমস্যা। এ সমস্যা এত জটিল হয় যার জন্য কোনো ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে হয়। বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা হয়ে থাকে। প্রথমে দেখতে হবে বুকে ব্যথা আঘাতজনিত কারণে না আঘাতবিহীন কারণে। যদি আঘাতবিহীন কারণে বুকে ব্যথা হয় তাহলে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে হৃদরোগজনিত কারণে না অন্য কোনো কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে। এ কারণ নির্ধারণের জন্য রোগীর কাছ থেকে রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ইতিহাস জানতে হবে এবং এরপর শারীরিক ও ল্যাব পরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয় করলে বেশির ভাগ বুকের ব্যথা ভালো করা সম্ভব। যে কারণে বুকে ব্যথা হয় তা হলো- ১. হৃদরোগজনিত কারণ ২. ফুসফুসজনিত কারণ ৩. মাংসপেশিজনিত কারণ ৪. খাদ্যনালিজনিত কারণ ৫. মানসিক কারণ ৬. আরও অন্য কারণ প্রথমে বুকের ব্যথা কোন স্থানে বুকের মাঝখানে, না বাম বা ডান পার্শ্বে বুকে ব্যথার প্রকৃতি : চাপ চাপ ব্যথা, মনে হয়, বুকের মাঝখানে পাথর বসিয়ে রেখেছে এমন, দম বন্ধ হয়ে আসে এমন বা অনুভূতিহীন যেমন হৃদরোগজনিত কারণ। তীব্র ব্যথা ছুরি দিয়ে আঘাত করলে যেমন মনে হয়, পোড়ানো ব্যথা, শ্বাস নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ব্যথা, ফুসফুসজনিত কারণ যেমন-নিমোনিয়া, পালমোনারি অ্যামালিজম, হৃদযন্ত্রের প্রদাহ হঠাৎ তীব্র পীড়াদায়ক ব্যথা বুকের সামনে থেকে পেছনের দিকে চলে যায়। যদি বুকের ব্যথা পরিশ্রম করলে, দুশ্চিন্তা করলে, ঠান্ডা আবহাওয়ার সংস্পর্শে এলে, দুঃস্বপ্ন দেখলে বাড়ে কিন্তু বিশ্রাম নিলে, জিহ্বার নিচে নাইট্রেটজাতীয় ওষুধ দিলে কমে তাহলে হৃদরোগ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। খাওয়ার পর, শোয়ার সময় গরম খাবার, মদ পান করলে এবং খালি পেটে যদি ব্যথা বাড়ে এবং অ্যান্টাসিডজাতীয় ওষুধ খেলে কমে যায় তাহলে খাদ্যনালিজনিত কারণ। বুকের ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে হৃদরোগ, পালমোনারি অ্যামালিজম নিমোনিয়া নিউমোথোরাক্স হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। পরিশ্রম শুরু করার কিছুক্ষণ পর থেকে ব্যথা শুরু হয় বিশ্রাম নিলেও ব্যথা থাকে। ব্যথা নিরাময়জাতীয় ওষুধ থেকে ব্যথা কমে তাহলে মাংসপেশিজনিত কারণ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা, হঠাৎ কোনো শব্দ হলে বুকের ব্যথা বেড়ে যায় ও বুক ধড়ফড় করে, কোনো মৃতু্যর সংবাদ শুনলে বুকে ব্যথা শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা করলে বুকে ব্যথা বেড়ে যায় তাহলে মানসিক কারণে হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। জরুরি বিভাগের বুকের ব্যথাজনিত কারণে যেসব রোগী আসে তার শতকরা ২০ ভাগের বেশি আসে মানসিক বা দুশ্চিন্তাজনিত কারণে। অনেক সময় পেটে ব্যথা সঙ্গে সঙ্গে বুকে ব্যথা থাকতে পারে যেমন পিত্তথলিতে পাথরের কারণে হয়। যে কারণেই বুকে হোক না কেন রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যেমন বুকের এক্স-রে, ইসিজি জাতীয় পরীক্ষা করে দ্রম্নত রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা করলে বেশির ভাগ রোগী ভালো হয়ে যায়। অনেক সময় দ্রম্নত হৃদরোগ নির্ণয় করা যায় এবং সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি কোনো রোগের কারণ না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে রোগীকে সঠিক উপদেশ দিয়েও বুকের ব্যথা ভালো করা সম্ভব। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক