সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হজম শক্তির জন্য আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ খাবার আঁশ বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। আঁশ দুই ধরনের হয়, দ্রাব্য এবং অদ্রাব্য। দ্রাব্য আঁশ আমাদের শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। আবার যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও দ্রাব্য ফাইবার খেতে পারেন। যে কোনো ফল ও সবজি দ্রাব্য আঁশ। অদ্রাব্য ফাইবার খাবার হজম করতে এবং ডায়রিয়াসহ নানা পেটের রোগ সারাতে সাহায্য করে। তো দেখে নেওয়া যাক, কি কি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে খাদ্যশস্য রাখা উচিত। কারণ এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যেমন- ধান, রাই, ওট, বারলি, ভুট্টা, বাদামি চাল, মিলেট ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রতিদিন একটু করে নানারকমের বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। যেমন- কাঠবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম ইত্যাদি। এই বাদামগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে শরীর রোগ মুক্ত তো থাকেই, সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। সুস্বাদু, রসালো এবং মিষ্টি নাশপাতি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এ ছাড়াও থাকে, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড এবং পটাশিয়াম। তাই সুস্থ-সবল থাকতে এই ফলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। নারকেলও ফাইবার সমৃদ্ধ। একইসঙ্গে এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ওমেগা ফ্যাটি এসিড, ফোলেট, সেলিনিয়াম ইত্যাদি। তাই খাদ্যাভ্যাসে নারকেল রাখা খুবই ভালো। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক খাবারের তালিকায় প্রতিদিন মাছ মাছে-ভাতে বাঙালি। প্রতিদিন এক টুকরো মাছ চাই চাই পাতে। কিন্তু প্রতিদিন মাছ খাওয়া ঠিক কিনা এটি নিয়েও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অনেকে। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিনের খাবারে মাছ রাখেন তারা অন্যদের থেকে ফিট। জেনে নিন মাছের গুণগুলো... হার্টকে চাঙ্গা রাখে মাছ। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে যারা নিয়মিত মাছ খেয়ে থাকেন, তাদের হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। কেন এমনটা হয় জানেন? মাছের শরীরে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত ফ্যাটের মাত্রাকে কমাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়ায় মাছ। মাছের শরীরে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আমাদের দেহের অন্দরে যাওয়া মাত্র ত্বক এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টির যোগান এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে তার প্রভাবে স্কিন টোনের যেমন উন্নতি ঘটতে শুরু করে, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। মানসিক অবসাদ কমায় মাছ। বর্তমান সময়ে নানা কারণে মানসিক অবসাদে আক্রান্তের সংখ্যাটা যেন ক্রমাগত বাড়ছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই কম বয়সি। এমন পরিস্থিতিতে মাছ খাওয়া প্রয়োজন আরও বেড়েছে। কারণ স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমাতে মাছের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। মাছ ভিটামিন ডির ঘাটতি দূর করে। হাড়ের গঠনে এই ভিটামিনটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো শরীরে যাতে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সামুদ্রিক মাছেরা। কারণ এদের শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মজুত থাকে ভিটামিন ডি, যা হাড়কে শক্তপোক্ত করার পাশাপাশি নানাবিধ হাড়ের রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক