ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না এলে করণীয়

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গস্নুকোজ) ভাঙতে ব্যর্থ হয, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি এবং অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ কেটেও ফেলতে হতে পারে। সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি-এই হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিকিৎকরা বলছেন, ডায়াবেটিসের এত ঝুঁকি থাকার পরেও যত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তাদের অর্ধেকেরও বেশি এই রোগটি সম্পর্কে সচেতন নয়। তবে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এখানে তার কিছু উপায় তুলে ধরা হলো- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না, ডাক্তারের পরামর্শমতো নিয়মিত ওষুধ সেবন করেছি, ইনসুলিনও নিচ্ছি তার ওপর মুটিয়ে যাচ্ছি, কী করব? এ ধরনের প্রশ্ন অনেক রোগীর কিন্তু তাদের মনে রাখা দরকার, এর পাশাপাশি খুব সহজ একটা কাজ করার আছে, সেটা হলো হাঁটা, প্রতিদিন এক ঘণ্টা (ষাট মিনিট) জোরে জোরে হাঁটা এবং অন্তত দুই মাইল হাঁটবেন। হাঁটার কোনো সময় নেই তবে সকাল অথবা বিকাল, যখন সূর্যের আলো প্রখর কম থাকে তখনই হাঁটার সবচেয়ে ভালো সময়, সুতরাং যখনই হাঁটুন যতবার হাঁটুন দুই মাইল হাঁটতে হবে। এবং এতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যাবে। গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত অন্তত দুই মাইল হাঁটে তাদের বডি মাস ইনডেক্স শরীরটা হালকা লাগে, তলপেটের মেদ কমে এবং উন্নত হয় ইনসুলিনের প্রতি দেহকোষের সংবেদনশীলতা সর্বোপরি কমে যায় ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত শরীরের অন্যান্য ঝুঁকি তাছাড়া একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন দুই মাইল হাঁটলে ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে এবং এর প্রতিরোধও সম্ভব ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি একটি গুরুত্বসহ প্রাকৃতিক পথ্য। মেথিকে মসলা, খাবার ও পথ্য তিনটিই বলা চলে। মেথি স্বাদে তিতা হলেও এতে রয়েছে রক্তে সুগার বা শর্করা নিয়ন্ত্রণের বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ চিনি চিবিয়ে খেলে বা এক গস্নাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে খালি পেটে পান করলে শরীরের রোগ জীবাণু মরে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে, রক্তের ক্ষতিকর চর্বির কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে শরীরে কৃমি থাকলে মারা যায়, গরমজনিত ত্বকের অসুখাদি দূর হয়, গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত সকালে মেথি খান তাদের ডায়াবেটিসজনিত অন্যান্য অসুখ কম হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলক কম থাকে সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি হলো শ্রেষ্ঠ পথ্য তবে তার সঙ্গে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের রাখতে ট্যাবলেট বা ইনসুলিন সঠিকভাবে ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস নেই, তাদের জন্যও মেথি উপকারী, যেমন মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য শরীরকে রোগ সতেজ রাখার জন্য রক্তের উপাদানগুলোকে বেশি মাত্রায় কর্মক্ষম করার জন্য মেথি অত্যন্ত উপকারী বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি, নানাবিধ গুণসম্পন্ন এ মেথি আজ থেকেই হোক আমাদের সবার গুরুত্বপূর্ণ খাবার।