মেদ ভুঁড়ি ও ডায়াবেটিস

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
সম্প্রতি মেদ-ভুঁড়ি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডে বেশ মজার এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবংর্ যান্ড কর্পোরেশনের গবেষকরা ২০০৬ সালে প্রায় সমতুল্য মাঝ বয়সী মার্কিন নাগরিক এবং ইরেজদের ওপর এ গবেষণা পরিচালন করেন। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডায়াবেটিসের হার দ্বিগুন। মার্কিনিরা ইংরেজদের তুলনায় বরাবরই স্থূলকায়; কিন্তু ডায়াবেটিসের হার কেন এত বেশি তারা সঠিক ব্যাখ্যা মিলছিল না। এখন গবেষকরা বলছেন, মার্কিনিদের বিষেষত মহিলাদের ভুঁড়িতে অতিরিক্ত মেদ জমার কারণেই এই বিপত্তি হয়েছে। গড়পড়তা একজন মার্কিন রমণীর কোমরের মাপ, সমবয়সী ইংরেজ মহিলাদের চেয়ে কমপক্ষে ৫ সেন্টিমিটার বেশি। আর মার্কিন পুরুষদের কোমার ইংরেজদের চেয়ে ৩ সেন্টিমিটার বেশি। এমনকি যেসব মার্কিনির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি নয়। তাদের কোমরের মাপও ইংরেজদের তুলানয় বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডের ৫২ থেকে ৮৫ বছর বয়সের নাগরিকদের ওপর এ গবেষণাটি পরিচালিত। ডায়াবেটিসের অন্যান্য যেসব ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেগুলো বেলায় এ দুই দেশের নাগরিকদর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যায়নি। শুধু একটি ক্ষেত্রেই বড় রকমের পার্থক্য দেখা গেছে। আর সেটা হল মার্কিনিদের ওজন স্বাভাবিক কিংবা অকি যাই হোক না কেন তাদের কোমরের মাপ ইংরেজদের চেয়ে বেশি। এমনকি প্রতি চারজন স্বাভাবিক ওজনবিশিষ্ট মার্কিন নাগরিকের অন্তত একজন ভূঁড়িতে সঞ্চিত মেদের পরিমাণ এত বেশি যে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার অতিরিক্ত ঝুঁকি রয়েছে। ইংরেজদের বেলায় এ হার দশ শতাংশ। এতদিন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি নির্ধারণের জন্য বিএমআইাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে যার কোমরের মাপ যত বড় এবং ভুড়িতে সঞ্চিত চর্বির পরিমাণ যত বেশি তার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি তত বেশি।