সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন কোমর ব্যথা কোমর ব্যথা দেখা দিলে সাধারণত পেইন কিলার খেয়ে থাকেন অনেকেই। পেইন কিলার এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেয় না। ঘরোয়া উপায়ে এই কোমর ব্যথা দূর করা সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো- কোমর ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। নারী-পুরুষ উভয়ই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। প্রথম দিকে এই ব্যথা সহ্য ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও আস্তে আস্তে এটি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিভিন্ন কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হলো- ওজন বৃদ্ধি, ভারী বস্তু তোলা, কোমরে ব্যথা পাওয়া, অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করলে, নিয়মিত গাড়ি চালানো, গর্ভধারণের সময়, মাসিকের সময়, হঠাৎ কোনো কারণে হাড় অথবা মাংসে টান পড়লে ইত্যাদি। কোমর ব্যথা দেখা দিলে সাধারণত পেইন কিলার খেয়ে থাকেন। পেইন কিলার এই সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দেয় না। ঘরোয়া উপায়ে এই কোমর ব্যথা দূর করা সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো। ১। বরফের সেঁক বরফ সাময়িকভাবে ব্যথা এবং ফোলা কমিয়ে দেয়। একটি তোয়ালেয় কিছু বরফের টুকরো পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ২০ মিনিট রাখুন। এ ছাড়া আইস ব্যাগে দিয়ে কোমরে সেঁক দিতে পারেন। ৪৮ ঘণ্টা পর একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে সেটি ব্যথার স্থানে রাখুন। এটি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ব্যথা কমিয়ে দেয়। এটি ২০ মিনিট রাখুন। এই পদ্ধতি কয়েকবার করুন। ২। বিশ্রামের পরিমাণ কমিয়ে দিন অতিরিক্ত বেড রেস্ট কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকেন তবে কোমর ব্যথা হতে পারে। কোমর ব্যথার সময় বিছানা থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। ৩। বসার ভঙ্গি পরিবর্তন চেয়ারে বসার ভঙ্গির কারণে অনেক সময় কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। প্রথমে কোমর, তারপর বুক এবং সবশেষে কাঁধ ও ঘাড় সোজা করে বসুন। এই ভঙ্গিটিতে সহজ এবং আরামদায়কভাবে বসার চেষ্টা করুন। এভাবে অফিসে কাজ, পড়া, হাঁটার অভ্যাস করুন। ৪। ব্যায়াম করুন পায়ের পিছনের পেশি হ্যামস্ট্রিংসে টান পড়লে অনেক সময় কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। আবার হ্যামস্ট্রিং খুব বেশি টাইট থাকলেও কোমরে ব্যথা হতে পারে। নিয়মিত হ্যামস্ট্রিং ব্যায়াম কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় অনেকখানি। সম্ভব দিনে দুই বার হ্যামস্ট্রিং ব্যায়াম করুন। ৫। ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার পেইনকিলার খাওয়ার চেয়ে ব্যথানাশক ক্রিম অথবা মলম ম্যাসাজ করা বেশ কার্যকর। কোমর ব্যথায় ব্যথানাশক ক্রিম অথবা স্প্রে ব্যবহার করুন। এটি দ্রম্নত ব্যথা হ্রাস করে দেবে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক কফ দূর করে লেটুসপাতা বাড়তে শুরু করেছে রৌদ্রের তেজ, আবার সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা বাতাস। গরম ঠান্ডার এ ঋতুতে বেড়ে চলেছে কফ, কাশি আর ভাইরাসজনিত জ্বর। গরম ঠান্ডা এই সমস্যার সমাধান করতে লেটুসপাতার অবদান অপরিসীম। আমাদের দেশে সালাদের বাটিতে একটি পরিচিত নাম লেটুসপাতা। এ পাতার বৈজ্ঞানিক নাম লকেটুসা-স্যাটিভাএল। হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করে লেটুসপাতা। সবুজ হওয়া সত্ত্বেও এতে রয়েছে মাত্র ৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি; কিন্তু উচ্চমাত্রার ভিটামিন 'এ'। ভিটামিন 'এ' ও সি ঠান্ডাজনিত অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কিডনির সমস্যার জন্য যেসব রোগীর প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তাদের জন্য লেটুসপাতা ভীষণ উপকারী। হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনিতে ব্যথা- এ অসুখগুলোয় লেটুসপাতা যথেষ্ট জরুরি। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই পাতা আশীর্বাদস্বরূপ। রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ডায়াবেটিক রোগীর দেহের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি নিরাময়ে সাহায্য করে। কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতা সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিন্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাতে বাধা দেয় এবং রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাকস্থলী ও খাবার হজমকারী অন্যান্য অঙ্গের ওপর রয়েছে এর যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছে, যারা লেটুসপাতা নিয়মিত খান তাদের পেট ভার হয়ে থাকা, গ্যাস হওয়া, ক্ষুধা না লাগা অ্যাসিডিটি এ সমস্যাগুলো দূর হয়ে বার্ধক্য আসে দেরিতে। ত্বকে বলিরেখাও পড়ে দেরিতে। এ পাতার সোডিয়াম ভিটামিন 'বি' ওয়ান, 'বি' টু, 'বি' থ্রি শরীরের যে কোনো অঙ্গে পানি জমে যওয়া রোধ করে অথচ লেটুসপাতায় রয়েছে ৯৫-৫ গ্রাম পানি। এ পানি রক্তের লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেতকণিকা, অনুচক্রিকা ও অন্যান্য উপাদানকে সুস্থ সবল রাখে। ত্বকের কোথাও কেটে বা ছিঁড়ে গেলে এ পাতাকে থেতলে ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা ভালো হয়। গর্ভবতী মায়ের কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে। এতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য মোটা ব্যক্তিদের চর্বি ও ওজন কমায়। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক