সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তেলাপোকা থেকে অ্যাজমা তেলাপোকা আমাদের কাছে খুব চেনা একটি প্রাণী। রান্নাঘরের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা, তেলাপোকা কারো কাছে ভীতি, কারো কাছে বিরক্তির বিষয়। চীনারা আবার খুব প্রীতি নিয়েই ওদের সু্যপ বানিয়ে খায়। কিন্তু আমেরিকার টেক্সাস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ওদের এত সহজভাবে নিচ্ছেন না। তারা তেলাপোকা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করছেন। আর গবেষণার ফলে তারা জানতে পেরেছেন তেলাপোকা শিশুদের অ্যাজমায় আক্রান্ত করে। সেই সঙ্গে যাদের অ্যাজমার সমস্যা আছে তাদের সমস্যাটাকেও আরো তীব্র করে তোলে। গবেষকদের মতে, তেলাপোকারা এক ধরনের মাইট বহন করে, যা অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। পোষা কুকুর বা বিড়ালের গায়ে যে অ্যালার্জেনগুলো থাকে তার থেকে এর ধরনটা আরো খারাপ। সুতরাং তেলাপোকা হতে সাবধান। আজই তৎপর হোন আর তেলাপোকার বংশ ধ্বংস করুন। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক গরমে নিয়মিত গোসল গরমে নিয়মিত গোসল করা দরকার। এসময়ে অস্বস্তি, ঘাম ও ঘামাচি, পানিশূন্যতা থেকে ঘন ঘন পিপাসা, ক্লান্তি, গায়ে দুর্গন্ধ, রাতে ঘুম না আসা ইত্যাদি বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। গরমে প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি নিয়মিত সাবানসহ গোসল করলে ও ঠান্ডা পরিবেশে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিলে এগুলোর অনেক কিছু থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। সুযোগ থাকলে পুকুরের পানিতে বা সুইমিং পুলে গোসল করতে পারলে অনেক ভালো। অল্পতেই শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার ও ঠান্ডা হয়। ভোরের পানি শীতল থাকে। তাই স্নানের শীতল পরশ পেতে হলে এসময়টা বেছে নেয়া যায়। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আরেকবার গোসল করতে পারলে ভালো ঘুম হয় এবং তা শরীরের জন্যও ভালো। গরমে গোসল করলে অল্পতেই অনেকটা ক্লান্তি দূর হয়ে যায়, চামড়া পরিষ্কার থাকে, ঘামাচিসহ বিভিন্ন চর্ম সমস্যা প্রতিহত হয়, পানিশূন্যতা কমে গিয়ে চামড়ায় সৌন্দর্য বাড়ায়, চুল পড়া কমে ও ভালো ঘুম হয়। ঘামাচি প্রতিরোধের জন্য দরকার সুতির হালকা রঙের আরামদায়ক পোশাক পরা, প্রয়োজনে একাধিকবার পরিচ্ছন্ন ঠান্ডা গোসল, কায়িক শ্রম যথাসম্ভব কম করা ও শীতল পরিবেশে সময় কাটানো। এ ব্যাপারে ইলেকট্রিক ফ্যানের বাতাস অনেকটা সময় আমাদের সঙ্গী হিসেবেই থাকে। সামান্য সাবানসহ গোসল করতে পারলে চামড়ায় ঘাম ও ময়লার প্রলেপ উঠে গিয়ে ঘামাচির বিরক্তিকর সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যালকম পাউডার, ক্যালামিন লোশন ও স্টেরয়েড ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে। এসি রুমে কয়েক রাত কাটাতে পারলে ঘামাচি অনেকটা উপশম হয়। গরমে নবজাতক বা ছোট শিশুদের খুব সহজেই ঘামাচি হতে পারে। এসময়ে তাদের বাসার ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে থাকা দরকার। তাছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল (াবহঃরষধঃরড়হ), গায়ে হালকা সুতির কাপড়, প্রয়োজনীয় দুধ বা পানি পান, চামড়া শুকনো রাখা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যাপারে যত্নবান হওয়া উচিত। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক ক্যান্সার প্রতিরোধে ইচ্ছাশক্তি ক্যান্সার একটি মারাত্মক ব্যাধি। এই ব্যাধিটি শরীরে দানা বাঁধলে চিকিৎসাব্যবস্থার মাধ্যমে তা রোধ করা সম্ভব। কিন্তু এই ব্যাধিটি প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা আমাদের কর্তব্য। অনেকেই ক্যান্সার শব্দটি শুনে আঁতকে ওঠেন। তবে একটি কথা বলে রাখি শুরুতেই ক্যান্সার ধরা পড়লে এবং এর সুচিকিৎসা হলে অনেক ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা ভালো হয়ে ওঠেন। ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য ইচ্ছাশক্তি ও প্রতিরোধের উপায়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন। * ফরমালিনবিহীন ফলমূল, টাটকা শাক-সবজি, প্রচুর ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। * ধূমপান, মদ্যপান, মাদকাসক্তি, জর্দা, সাদাপাতা, গুল, কিমাম, দোক্তা ইত্যাদি বিজাতীয় খাবার ও পানীয় পরিত্যাগ করতে হবে। * ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে হলে, ৩০ বছর বয়স থেকে নিয়মিত নিজের ব্রেস্ট পরীক্ষা করতে হবে। * একাধারে দীর্ঘদিন জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি বা ইনজেকশন পরিহার করতে হবে। * পুরুষ বা মহিলা উভয়েরই বহুগামিতা পরিহার করতে হবে। * কৃত্রিম সারযুক্ত খাবার, দীর্ঘদিন পলিথিন মোড়ানো খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। * জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে ও জরায়ু পরীক্ষা করতে হবে। * শরীরের ছোট-খাটো ক্ষত, ঘা, কাঁটা বিঁধলে বা কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে এর সঠিক পরিচর্যা করুন। * ঘরের ভেতর মশানাশক স্প্রে, অতিরিক্ত চুলে কলপ, মেকাপ, ক্ষতিকর পারফিউম ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। * পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক, শরীরের যত্ন, রুটিন মাফিক ঘুম ও খাওয়ার অভ্যাস জরুরি। পরিমিত সুষম খাদ্য গ্রহণ, শরীরচর্চা ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। * ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক