গরমে স্বস্তি পেতে যা যা করবেন

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তাই এই অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হলেও অফিস করা থেকে শুরু করে রান্না-খাওয়া কিছুই তো বাদ দেয়া যায় না। কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়া তাই বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। অন্য দিকে শিশু ও বয়স্করা বাড়িতে থেকেও গরমে কষ্ট পাচ্ছেন। গুমোট গরমে প্যাচপ্যাচে ঘাম অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। গরমে আবার সর্দি-কাশি, জ্বর, পেটে ব্যথার মতো রোগের সমস্যাও বাড়ছে। এই সময় শরীর ভালো রাখতে কিছু বাড়তি যত্ন নেয়া দরকার, জানিয়েছেন এক দল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। গরমে স্বস্তি পেতে যা যা করবেন ১. গরমে শরীর অস্থির লাগলে চোখে মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে। সম্ভব হলে গোসল করে নিতে পারলে ভালো হয়। অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা না থাকলে গরমকালে ৩ থেকে ৪ বার গোসল করলে গরমের কষ্ট অনেক কম হয়। ২. দুপুরের রোদ্দুরে না বেরনোর চেষ্টা করবেন। জেনে রাখুন দুপুর দুটো পর্যন্ত তাপমাত্রা সব থেকে বেশি থাকে। এই সময় বাইরে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। খুব কষ্ট হয়। তাই চেষ্টা করবেন দুপুর বারোটা থেকে দুপুর তিনটের মধ্যে অফিসে বা কোনো ঘরে থাকার। ৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় খাবার খেতে হবে। বাড়িতে পাতা দইয়ের ঘোল, নুন লেবুর শরবৎ, ডাবের জল, যে কোনো টাটকা ফলের রস (ক্যান বন্দি চিনি দেয়া ফলের রস নয়) খেলে চট করে ক্লান্ত হবেন না। ৪. শসা, জামরুল, তরমুজ, আঙ্গুরসহ যে কোনো টাটকা ফল খেলে ভালো হয়। এই সময়ে বেশি মশলাদার খাবার ও বেশি মাংস খেলে হজমের সময় শরীরে বাড়তি তাপ উৎপন্ন হয়। তাই হালকা খাবার খেতে হবে। রোজকার ডায়েটে রাখুন টক দই, যা হজমশক্তি বাড়বে। ৫. হালকা রঙের সুতির ঢিলে পোশাক পরতে হবে। আর সবারই উচিত সানস্ক্রিন মেখে বাইরে বেরনো। ৬. গরমে ব্যায়াম করলে কষ্ট বাড়ে। চেষ্টা করুন সাঁতার কেটে বা সন্ধেবেলা ব্যায়াম করে ফিট থাকার। ৭. যাদের ক্রনিক কিডনির অসুখ বা হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জল খেতে হয় মাপ অনুযায়ী। কষ্ট হলে চিকিৎসককে অসুবিধার কথা জানান। আর শশা, জামরুল, পাকা পেঁপে জাতীয় ফল খেয়ে জলের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করুন। ৮. গরমে ভয়ানক ঘাম হলে, চোখে অন্ধকার দেখলে অথবা শ্বাসের কষ্ট হলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ৯. গরমে ভয়ানক বিপদে পড়তে হয় পার্কিং করা গাড়ির মধ্যে বসে থাকলে। এর থেকে মারাত্মক বিপদের ঝুঁকি থাকে। রোদ্দুরে গাড়ি পার্ক করে রাখলে ১০ মিনিটের মধ্যেই গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় প্রায় ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এতে প্রবল গরমে মানুষ বেহুঁশ হয়ে যান, প্রাণ হারানোর মতো ঘটনাও ঘটে। সুতরাং এই ব্যাপারটা ভুলবেন না। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক