সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ডায়াবেটিস নিরাময়ে লিভার কোষ বিজ্ঞানীরা লিভার কোষকে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহারের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তারা লিভারের কোষকে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষে রূপান্তরিত করেছেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে যেমন ইনসুলিন উৎপাদক কোষ লাভ করা সম্ভব, তেমনি রোগীর সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগে রক্তে সুগারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নষ্ট হলে রোগীর জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। রক্তে সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয় প্রয়োজনীয় ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে। লিভার কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ইনসুলিন হরমোনের সরবরাহ ঠিক রেখে রোগীকে ঝুঁকি থেকে বাঁচানো যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরাইলের সেবা মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে এ তথ্য পেয়েছেন। তবে এতে কিছু সমস্যাও রয়েছে, কোষ প্রতিস্থাপনের পর রোগীর দেহ সেটা ঠিকমতো গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। কোষ প্রতিস্থাপনের পর রোগীকে সারা জীবন হাইপাওয়ারের ওষুধ খেতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত লিভার কোষ সরবরাহ না পাওয়াও সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ ফুসফুসের ক্যান্সার খুব পরিচিত অসুখ। আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং অনেকেই মৃতু্যবরণ করে। সাধারণত যারা খুব বেশি ধূমপান করেন তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় জড়িত তাদেরও এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এ ছাড়া বংশগত কারণেও এমন ক্যান্সার হতে দেখা যায়। বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়াতে বর্তমানে ফুসফুসের ক্যান্সারও বেড়ে গেছে। ফুসফুস ক্যান্সার অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। প্রতিরোধের জন্য প্রথমেই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে সর্বত্র ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে। যারা ধূমপানে অভ্যস্ত তাদের ধূমপানের কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। প্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তবে ধূমপান ছাড়ার জন্য সদিচ্ছা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি ধূমপানের মতো পরোক্ষ ধূমপানও অনেক বেশি ক্ষতি করে। বাড়িতে, অফিসে বা পাবলিক পেস্নসে ধূমপান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। প্রকাশ্য স্থানে, বাসা-বাড়িতে, অফিসে, বাসে, রাস্তাঘাটে, বাজারে যারা ধূমপান করে তাদের সবাই মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকরা, নেতা এবং মসজিদের ইমামদের এই বিষয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। সিনেমা এবং নাটকে যাতে ধূমপানের দৃশ্য না থাকে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন কারণে যে বায়ুদূষণ হয় তা প্রতিরোধ করতে হবে। ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে খাবারেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সবুজ শাক-সবজি নিয়মিত খেতে হবে। ফলমূলও প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এসবে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে ভালো ভূমিকা রাখে। কাশির সঙ্গে রক্ত বা দীর্ঘদিন কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে দ্রম্নত চিকিৎসক দেখাতে হবে। সচেতনতাই অনেকাংশে প্রতিরোধ করতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক গর্ভাবস্থায় যেসব ফল খাবেন না গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে এমন কোনো খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তবে এ সময়ে আমরা অনেক ধরনের ফল খেয়ে থাকি। তবে কিছু ফল আছে- যা মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মাছ, মাংস, ডিমের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় ফল থাকে। তবে কিছু ফল আছে- যা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমন কোনো ফল খাওয়া যাবে না। আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় যেসব ফল ভুলেও খাবেন না। আনারস : গর্ভাবস্থায় আনারস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ সময় আনারস খেলে জরায়ুর সংকোচন হয়। ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। আঙুর : গর্ভাবস্থায় আঙুর খেলে মর্নিং সিকনেসের প্রবণতা বাড়ে। এ ছাড়া ওই মায়েরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। তেঁতুল : গর্ভাবস্থায় তেঁতুল না খাওয়া ভালো। তেঁতুলে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি' প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ কমায়। শরীরে এই হরমোন কমে গেলে জরায়ুর সংকোচন হয়। তখন গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। পেঁপে : পেঁপেতে থাকা ল্যাটেক্স জরায়ুর সংকোচন ঘটায়। ফলে এ সময় গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। কলা : গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস বা অ্যালার্জি থাকলে কলা খাওয়া ঠিক নয়। এতে থাকা কাইটিনেজ উপাদান ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তরমুজ : তরমুজ শরীরে আর্দ্রতা বজায় রেখে টক্সিন দূর করে। তবে টক্সিন বের হওয়ার সময় গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ অতিরিক্ত টক্সিনের সংস্পর্শে এলে তা ক্ষতিকারক। খেজুর : খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আয়রন রয়েছে। তবে গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া উচিত নয়। খেজুর শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার ফলে পেশীর সংকোচন হয়। জরায়ুর পেশী সংকুচিত হলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক