সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ওষুধ খেলে কী হতে পারে? কোনো ওষুধ কেনার সময় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিই আমরা। যদিও জ্বর, কাশি বা ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াও (ঙঞঈ) কিছু ওষুধ কেনা হয় যা এক বছর বা দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার হয় না। সিরাপ বা কোনো ট্যাবলেট খাওয়ার আগে বেশিরভাগ মানুষই এর এক্সপায়ারি ডেট দেখে নেন। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেলে কী হবে সেটাও নিশ্চয়ই অনেকে ভেবে থাকেন! চলুন তাহলে জেনে নিই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেলে কী হয়। ঙঞঈ হোক বা চিকিৎসকের পরামর্শেই হোক প্রতিটা ওষুধেরই স্থায়িত্বকাল আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, যদি কোনো ওষুধ ১ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয় তাহলে এর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেয়া হয় ৬ মাস পর্যন্ত। তাই আপনি যদি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ওষুধ গ্রহণ করেন তাহলে কোনো স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি করবে না যেহেতু এর স্থায়িত্ব আছে। ওষুধের ধরন ও উৎপাদনের উপর নির্ভর করে ওষুধ দুই বছর, তিন বছর বা পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণের ওষুধ সেবন করলে এর কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। এর কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের সক্রিয় উপাদানগুলোর রাসায়নিক পরিবর্তন হতে পারে, যা ক্ষতিকর হতেও পারে বা নাও হতে পারে। ওষুধের দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণের ওষুধ কেনার সম্ভাবনা কম। কারণ ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তা কোম্পানিকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং তার বদলে নতুন ওষুধ আনা হয়। খুব তাড়াহুড়া করে ওষুধ গ্রহণ করলে এই ভুল হয়ে যেতেও পারে। অল্প মাত্রায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবন করে ফেললে কোনো সমস্যা হয় না। কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, বমি বমিভাব, বমি হওয়া এবং পাকস্থলীর ব্যথা হওয়ার মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়া খুব সাধারণ বিষয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে ফেলার পর যা করবেন ভুলবশত বা না জেনে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে ফেললে এর থেকে কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে কিনা তা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন। চিকিৎসক আপনার রক্ত পরীক্ষা করতে নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া ওষুধের ধরনের ওপর নির্ভর করে যকৃৎ ও কিডনির ওপর কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা তা জানার জন্য কিডনি ও লিভার ফাংশন টেস্ট করানোর নির্দেশনাও দিতে পারেন। তাই সব সময় ওষুধ গ্রহণের আগে এর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে নিতে ভুলবেন না। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক পরিপূর্ণ সৌন্দর্য পেতে কনুই, হাঁটু ও গোড়ালির যত্ন মুখের যত্ন নিয়ে, মুখের সৌন্দর্য নিয়ে চিন্তিত থাকেন সবাই। অথচ শরীরের অন্য অঙ্গগুলোর দিকে যেন মনযোগই থাকে না। এমন হলে কি হবে? কুচকুচে কালো কনুই কিংবা ফাটা গোড়ালি এক মুহূর্তে ম্স্নান করে দিতে পারে আপনার সব সৌন্দর্য। আসুন, আজ জানি শরীরের এসব অবহেলিত অঙ্গগুলোর একটু বিশেষ যত্ন সম্পর্কে। কনুই ও হাঁটু শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় কনুই ও হাঁটুর মতো ভাঁজের অংশের ত্বক প্রায়ই শুষ্ক, খসখসে ও কাল হয়ে যায়। তাই কনুই ও হাঁটুর দরকার বিশেষ যত্ন। নিয়মিত স্ক্রাব দিয়ে হাঁটু ও কনুই পরিষ্কার করুন। অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েল দিয়ে কনুই ও হাঁটুতে ম্যাসাজ করুন। লেবুর রস হাঁটু ও কনুইর ত্বক ভালো রাখার জন্য দারুণ উপকারি। লেবুর রসে সামান্য লবণ মিশিয়ে হাঁটু ও কনুইতে ঘষুন। উপকার পাবেন। নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। পায়ের গোড়ালি সুন্দর ও মসৃণ পায়ের গোড়ালি সবার নজর কাড়ে। কিন্তু শীতকালে ও ধুলোয় পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। তাই শীতকালে পায়ের গোড়ালির দরকার বিশেষ যত্ন। অন্যান্য ঋতুতেও যত্ন চালিয়ে যেতে হবে। হালকা গরম পানিতে লিকুইড সাবান মিশিয়ে তার ভেতর কিছু সময় পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ফুট স্ক্রাবার দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো মতো ঘষে নিন। নিয়মিত গিস্নসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগান, গোড়ালি মসৃণ থাকবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালিতে ভ্যাসলিন লাগিয়ে কিছু সময় ম্যাসাজ করে নিন। তারপর পরিষ্কার সুতির মোজা পরে ঘুমাতে যান। খুব বেশি টাইট মোজা পড়বেন না, যে মোজার ইলাস্টিক ঢিলা হয়ে গেছে সেগুলো পড়তে পারেন। ফাটা গোড়ালির সমস্যা দূর করতে ১ সপ্তাহের ট্রিটমেন্ট মেনে চলুন। রাতে ঘুমানোর আগে ২০ মিনিট পা গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখুন, পানিতে শ্যাম্পু বা লিকুইড সাবান মিশিয়ে নিন। গরম পানি পায়ের মরা চামড়া নরম করতে সাহায্য করবে। এবার হিল স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি হালকা করে ঘষে নিন। এতে মরা চামড়া উঠে আসবে। এবার পা ধুয়ে নিয়ে পায়ে ক্রিম লাগিয়ে নিন। এবার সুতির মোজা পরে ঘুমাতে যান। ১ সপ্তাহ ধরে এই নিয়ম মেনে চলুন। গোড়ালির জন্য বিশেষ ক্রিম ও পাওয়া যায়, সেটা ব্যবহার করতে পারেন। গোড়ালি যদি বেশি ফেটে রক্ত বের হয় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক