সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভিটামিন 'বি' কিডনির ক্ষতি করে ডায়াবেটিসগ্রস্ত প্রায় ৪০% ব্যক্তি কিডনি রোগের শিকার হয়। উচ্চমাত্রার ভিটামিন গ্রহণের ফলে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায়। কানাডিয়ান গবেষকরা টাইপ-১ অথবা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট ১ থেকে ৩ স্তরের পুরনো কিডনি রোগগ্রস্ত ২৩৮ ব্যক্তির ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেন। রোগীদের প্রত্যেকে প্রতিদিন 'বি' ভিটামিন ফলিক এসিড (২৫০০ মাইক্রো গ্রাম), ভিটামিন বি ৬ (২৫ মিলিগ্রাম) এবং ভিটামিন ১২ (১০০০ মাইক্রোগ্রাম) খেতে দেয়া হয়। পূর্ববর্তী এক সমীক্ষায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছিল যে, 'বি' ভিটামিন রক্তে হোমো-সেস্টাইনের মাত্রা কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। হোমো-সেস্টাইন এক ধরনের এমাইনো এসিড, যার সঙ্গে ডায়াবেটিসগ্রস্ত ব্যক্তিদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সমীক্ষা শুরুর তিন বছর পর দেখা যায় যাদের উচ্চমাত্রার 'বি' ভিটামিন দেয়া হয়েছিল, তাদের কিডনির কার্যকারিতা গ্রহণকারীদের তুলনায় বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং ভিটামিন গ্রহণকারীদের মধ্যে ২৪ জন, গ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ১৩ জন হৃদরোগ অথবা সন্ন্যাস জাতীয় হৃদসংবহন রোগের শিকার হয়েছে। তাই চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী বি ভিটামিন সেবন করুন। একটি আদর্শ মাল্টি ভিটামিন বড়িতে থাকে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড, ২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ এবং ৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি১২। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক ওজন মাপার সেরা সময় ওজন বেশি হ্রাসের প্রচেষ্টা কেবলমাত্র স্নিকার পরে হাঁটা অথবা ট্রেডমিলের ওপর দৌড়ানো ও খাবার নিয়ন্ত্রণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, আপনাকে নিয়মিত ওজনও মাপতে হবে। অনেকেই মাঝেমধ্যে ওজন মাপেন; কিন্তু যদি আপনি ওজন হ্রাসের প্রচেষ্টা চালান, তাহলে আপনার প্রতিদিন ওজন মাপা উচিত। ড্রেডেড স্কেলে ওজন মাপুন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েট কন্ট্রোল রেজিস্ট্রি অনুসারে, সফলভাবে ওজন কমিয়েছেন এমন ৭৫ শতাংশ আমেরিকান নিয়মিত ওজন মেপে ওজন নিয়ন্ত্রণ করেন। ২০১২ সালে জার্নাল অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে প্রকাশিত গবেষণায় পাওয়া যায়, যেসব লোক ওজন কমায় তাদের তা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে যদি তারা নিয়মিত নিজে নিজে ওজন পরিমাপ করেন। তাই স্কেলে ওজন মাপুন, কিন্তু বিজ্ঞান সচেতনভাবে ওজন পরিমাপ করতে বলছে। মনে রাখবেন: ওজন মাপার জন্য একটি 'সঠিক' নিয়ম রয়েছে এবং আপনি এটি অনুসরণ করে যে ফলাফল পাবেন তা নিয়ে গর্ব করতে পারবেন। প্রথমত, চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিজে নিজে ওজন পরিমাপ করুন- যাই ঘটুক না কেন, নিয়মিত সেই সময়েই ওজন মাপুন। যেহেতু সারাদিন আপনার ওজন ওঠানামা করে, তাই যখন আপনি যে কোনো সময় স্কেলের ওপর দাঁড়াবেন তখন নির্ভুল রিড পাওয়া কঠিন হবে। ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো আনশুটজ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের অন্তর্গত ওয়েলনেস ক্লিনিকের মেডিকেল ডিরেক্টর হলি ওয়াট কনজ্যুমার রিপোর্টসকে বলেন, 'ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে অধিকতর ভালো সিদ্ধান্ত নিতে আপনার নিয়মিত ওজনের সংখ্যা জানা প্রয়োজন।' দ্বিতীয়ত, আপনি সময় নির্বাচন করুন: নিজে নিজে ওজন পরিমাপ করার জন্য কোন সময়টা সেরা? বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার সকালে মূত্রথলি খালি করার পরে এবং ব্রেকফাস্ট খাওয়া কিংবা ব্যায়াম করার পূর্বে স্কেলের ওপর দাঁড়ানো উচিত। তখন আপনি শুধুমাত্র নিম্ন সংখ্যাই পাবেন না, কোনো অতিরিক্ত পাউন্ড ব্যতীত আপনার প্রকৃত ওজনের সবচেয়ে নির্ভুল রিফ্লেকশনও দেখবেন। এ ছাড়া নিশ্চিত হোন যে আপনার স্কেল কোনো শক্ত ও সমতল পৃষ্ঠের ওপর রেখেছেন (কার্পেটের ওপর নয়) এবং দু'পায়ে সমান ভর দিয়ে স্কেলের ওপর দাঁড়ান। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক মা-বাবার ধূমপানে শিশুর উচ্চ রক্তচাপ ধূমপানের ক্ষতিকর দিক বলে শেষ করা যাবে না। শুধু এটি নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে না অন্যদেরও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি বিখ্যাত 'সার্কুলেশন' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে- পিতা-মাতা ধূমপান করলে শিশুরা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। জার্মানির পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির সময় ডাটা সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রায় ২৮ ভাগ শিশুর পিতা বা মাতা ধূমপান করেন। পরবর্তী সময় ২০০৭-০৮ সময়ে ফলোআপে দেখা যায়, যাদের পিতা-মাতা ধূমপান করছেন তাদের ১৫ ভাগ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়েছে। একই গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মিষ্টি বা শর্করা-জাতীয় খাবার বেশি খায় তাদের রক্তচাপেও আক্রান্তের হার বাড়ে। এ গবেষণাটি পরিচালনা করেছে সেন্টার অর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি মিষ্টি-জাতীয় খাবার খায় বা যাদের মোট ক্যালরির ৩০ শতাংশ শর্করা থেকে আসে তাদের রক্তে ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল কমে ও খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল বাড়ে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক