নিয়ম মেনে হাঁটলে মেদ কমে যাবে

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নিয়ম মেনে কড়া ডায়েট হোক বা জোরদার শরীরচর্চা- সময়ের অভাব আর পদ্ধতিগত নানা জটিলতা এগুলোর প্রতি ঝুঁকতে বাধা দেয় বেশির ভাগ মানুষকেই। সবাই ভাবেন, তার চেয়ে হাঁটা ভালো। সহজ পদ্ধতি, প্রতিদিনের রোজনামচায় হাঁটার সময়ও বের করা সহজ। জিম-ফিটনেস সেন্টারে ছোটারও প্রয়োজন পড়ে না। তাই শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকে আপন করে নেন অনেকেই। পুষ্টিবিদের মতে, 'হাঁটাহাঁটি করুন যতটা পারেন। মাঝে মাঝে হাঁটায় শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলো সচল থাকবে। তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটতেই মিলবে উপকার।' নিয়মের সঙ্গে জেনে রাখা দরকার হাঁটার সময়ও। সপ্তাহে হাঁটতে হবে অন্তত ২৫০ মিনিট। গড় হিসেবে কম করে ৩৫ মিনিটের একটু বেশি। এটুকু হাঁটা শরীরের শুধু মেদ ঝরাবে তা-ই নয়, এই দীর্ঘক্ষণ হাঁটা হাঁর্টের অসুখ ভালো করে। কোলেস্টেরল কমায়। কিন্তু শুধু সময় মানলেই হবে না। জানতে হবে আরও কিছু নিয়ম। হাঁটাহাঁটির অভ্যাস না থাকলে প্রথম দিকে এক সেকেন্ডে একটা স্টেপ, এই অঙ্কেই হাঁটতে হবে। তারপর হাঁটার অভ্যাস হলে সেকেন্ডে দুটো স্টেপের হিসেবে হাঁটতে হবে। আর অবশ্যই হাঁটতে হবে একটানা রাস্তা ধরে। বারবার থমকে, ঘন ঘন দিক বদলে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি। তাই বাড়ির ছাদে বা লনে নয়, রাস্তা ধরে হাঁটুন। এমন কোনো রাস্তা বাছুন, যেখানে ধোঁয়া, যানজট, বড়সড় গাড়ির উপস্থিতি প্রায় নেই। গলিপথগুলো হাঁটার জন্য ভালো। বারবার হাঁটার সময় গাড়ি ঘোড়ার উপদ্রবে দাঁড়াতে হলে তা হাঁটায় বিঘ্ন ঘটায়। আর যানবাহনের ধোঁয়া শরীরের জন্যও ভালো নয়। অনেকেই পোষ্য নিয়ে বেড়াতে যান। সেই অভ্যাসে রাশ টানবেন না, এতে পোষ্য কষ্ট পায়। বরং তাকে নিয়ে হাঁটার সময়টা আলাদা করে বরাদ্দ করুন। ওজন কমানোর জন্য হাঁটার সময় একা হাঁটুন। দ্রম্নত হাঁটার সঙ্গে তাল মেলাতে পোষ্যের অসুবিধা হবে ও সে তার বেড়ানো উপভোগ করবে না। আপনিও তাকে সঙ্গে নিয়ে সেকেন্ডে দুটো স্টেপের হিসেব বজায় রাখতে পারবেন না। দল বেঁধে হাঁটতে বেরবেন না একই কারণে। অনেকেই এই সময় গল্পগাছা করতে করতে হাঁটেন। কথা না বললেও দলছুট হয়ে যাওয়ায় অনেকে হঁাঁটা শ্লথ করে ফেলেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। এতে হাঁটার গতি শ্লথ হয় ও হাঁপিয়ে গিয়ে বেশি দূর হাঁটা যায় না। দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়াবে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা চলবে না কিছুতেই। বরং সে সব ঠেকাতে ওই সময়টা ইয়ারফোন বা হেডফোনে গান শুনুন। এতে ফিল গুড হরমোনের জোগান যেমন বাড়বে, তেমনই হাঁটার রিদ্ম কমবে না। তবে ব্যস্ত রাস্তা, যানজটের পথে হাঁটলে হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। হাতে বা পিঠে অনেক বোঝা নিয়ে হাঁটবেন না। এতে ক্লান্তি বাড়বে, বেশিক্ষণ হাঁটা সম্ভব হবে না। হাঁটার নির্দিষ্ট কোনো সময়ও নেই। সকালে সময় না পেলে বিকেলে বা সন্ধ্যায় হাঁটুন। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরেও হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে আবার একেবারে খালিপেটে হাঁটবেন না। পায়ে বা হাঁটুতে চোট থাকলে বা কোমরের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে কতটুকু হাঁটলে আপনার হাঁড় ও স্নায়ু তা সইতে পারবে, তা জেনে তবেই হাঁটাহাঁটি শুরু করুন। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক