সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হজম শক্তির জন্য আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ খাবার আঁশ বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। আঁশ দুই ধরনের হয়, দ্রাব্য এবং অদ্রাব্য। দ্রাব্য আঁশ আমাদের শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। আবার যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও দ্রাব্য ফাইবার খেতে পারেন। যে কোনো ফল ও সবজি দ্রাব্য আঁশ। অদ্রাব্য ফাইবার খাবার হজম করতে এবং ডায়রিয়াসহ নানা পেটের রোগ সারাতে সাহায্য করে। তো দেখে নেওয়া যাক, কি কি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে খাদ্যশস্য রাখা উচিত। কারণ এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যেমন- ধান, রাই, ওট, বারলি, ভুট্টা, বাদামি চাল, মিলেট ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রতিদিন একটু করে নানারকমের বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। যেমন- কাঠবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম ইত্যাদি। এই বাদামগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে শরীর রোগ মুক্ত তো থাকেই, সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। সুস্বাদু, রসালো এবং মিষ্টি নাশপাতি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এ ছাড়াও থাকে, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড এবং পটাশিয়াম। তাই সুস্থ-সবল থাকতে এই ফলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। নারকেলও ফাইবার সমৃদ্ধ। একইসঙ্গে এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ওমেগা ফ্যাটি এসিড, ফোলেট, সেলিনিয়াম ইত্যাদি। তাই খাদ্যাভ্যাসে নারকেল রাখা খুবই ভালো। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক চোখ ভালো রাখতে লাল চা! দিনে মাত্র তিন কাপ লাল চা, আর তাতেই ভালো থাকবে আপনার চোখ জোড়া। বিস্মিত হচ্ছেন? সকালে ঘুম থেকে উঠে চিনি ছাড়া এক কাপ লাল চা আপনাকে দেবে সারাদিনের শক্তি। কারণ এই লাল চায়ে রয়েছে ক্যাফেইন, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, মিনারেল, ফ্লোরাইড, ম্যাঙ্গানিজ ও পলিফেনল। এ ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ট্যানিন, গুয়ানিন, এক্সাথিন, পিউরিনে ভরপুর লাল চা। তবে বেশি পরিমাণে নয়। প্রতিদিন মাত্র ৩ কাপ লাল চা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, দিনে একবার লাল চা খেলে গস্নুকোমার মতো চোখের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে প্রায় ৭৫ শতাংশ। গস্নুকোমা রোগে আক্রান্ত হলে চোখের ভেতরে চাপ বাড়তে শুরু করে। ফলে, অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। লাল চায়ের সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির ভালো-মন্দের সরাসরি যোগ আছে। কারণ, লাল চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ এবং নিউরো প্রোটেকটিভ কেমিক্যাল চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করলে ইদানীং অনেক রোগী আমাদের কাছে আসেন তাদের হাত ও পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়, বিশেষ করে রাতে বিছানায় গেলে সমস্যাটা বেশি দেখা যায়, এমনকি শীতের রাতে হাত ও পা কম্বল বা লেপের ভেতরে রাখতে পারেন না, বাইরে রাখতে হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। অনেক কারণে আমাদের শরীরে বিশেষ করে হাত ও পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। যেমন- স্নায়ুর কারণে : আক্রান্ত অংশের স্নায়ুর ওপর চাপ লেগে থাকলে। হরমোনের কারণে : বিভিন্ন ধরনের হরমোন আমাদের শরীরের নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপোজ-পরবর্তী সময়ে শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে তখন এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে : যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না তাদের পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দেখা যায়। ভিটামিন বা মিনারেলের অভাবে : কিছু কিছু ভিটামিন বা মিনারেলের অভাবে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। যেমন- থায়ামিন, পাইরিডক্সিন, সাইনোকোবালসিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি ইত্যাদির অভাবে অনেক ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। করণীয় : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় করা। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস জেনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেন। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক