অভ্যাস বদলেই রক্তে বাড়বে হিমোগেস্নাবিন, সারবে অ্যানিমিয়া

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শরীরে রক্তের মূল উপাদান আয়রন কমে গেলে তার সরাসরি প্রভাব পরে চেহারায়। শরীরে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি বা অ্যানিমিয়ার কারণে অপুষ্টি, কৃমি, রক্তপাত ইত্যাদির পাশাপাশি ভুল জীবনযাপন?
আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর এমন মানুষের অন্দরেও বাসা বাঁধছে অ্যানিমিয়া। শরীরে রক্তের মূল উপাদান আয়রন কমে গেলে তার সরাসরি প্রভাব পরে চেহারায়। শরীরে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি বা অ্যানিমিয়ার কারণে অপুষ্টি, কৃমি, রক্তপাত ইত্যাদির পাশাপাশি ভুল জীবনযাপন? সঠিক খাবার ঠিক সময়ে না খাওয়াও এই অসুখকে ডেকে আনে? রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার উৎপাত সম্পর্কে কিন্তু গ্রাম-শহর নির্বিশেষ সবাই বেশ সচেতন। তবু এই অসুখের হানা ঘরে ঘরেই। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্তর মতে, ''ঘরের ডালভাত খেতে যেন মানুষ ভুলেই গিয়েছেন আজকাল। ওজন কমাতে খাচ্ছেন মিল সাপলিমেন্ট আর আনন্দে জাঙ্ক ফুড। দিনান্তে এক বার হয়তো ঘরে খাওয়া হয়, তাও চটজলদি বানিয়ে ফেলা যায় এমন খাবার? তার পুষ্টিগুণ কতটা, ক্যালোরি মূল্য কত, সে সব নিয়ে কেউই আর মাথা ঘামান না। ফলে ওপর থেকে দেখতে স্বাস্থ্যকর, এমন মানুষের অন্দরেও বাসা বাঁধছে এই রোগ।'' পুষ্টিবিদদের মতে, এই রোগ ঠেকাতে সব অভ্যাস রাতারাতি বদলানো যায় না। তবে তাতে চিন্তা করার কিছু নেই। একটা-দুটো করে বদলাতে শুরু করলেই কাজ হয় ম্যাজিকের মতো। অভ্যাস বদলান খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে-পরে চা, কফি, কোলা খেলে খাবারের আয়রন শরীরে ঠিক ভাবে শোষিত হতে পারে না। কাজেই এই অভ্যাস বদলে ফেলুন। খালিপেটে নয়, ফল খান খাবার খাওয়ার পর। ফলের ভিটামিন সি খাবারের আয়রনকে শোষিত হতে সাহায্য করে। একই কারণে ভাতের পাতে লেবু খেলেও উপকার। ইসবগুল খান খাবার খাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে বা পরে। না হলে ফাইবারের ছাঁকনিতে পুষ্টির বেশ কিছুটা আটকে যেতে পারে। জাঙ্ক ফুড হলো মুখরোচক খাবার? পুষ্টির বিচারে খুব একটা দাম নেই। বেশি খেয়ে পেটের গোলমাল হলে আরেক সমস্যা। কাজেই সপ্তাহে এক দু'বারের বেশি খাবেন না। দিনে অন্তত দু'বার ঘরে বানানো টাটকা সুষম খাবার খান? চেষ্টা করুন বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যেতে? দিনের একটা খাবার ফল, দই, রায়তা দিয়ে সারার চেষ্টা করুন। বিটের রসে রক্তে বাড়ে লৌহ শুতে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে রাতের খাবার খান। আয়রন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার একসঙ্গে খেলে কে আগে শোষিত হবে তা নিয়ে শুরু হয় লড়াই। সে জন্য মাছ, মাংস ও ডিম খাওয়ার পর দুধের খাবার খাওয়া ঠিক নয়। রেড মিট, মাছ বিশেষ করে চিংড়ি, ডিম, মেটে ইত্যাদিতে আছে হিম আয়রন- যা সহজে শরীরের কাজে লাগে। আর দুধ ও দুধে তৈরি খাবার, সবুজ শাকসব্জি, মুসুর ও অন্যান্য ডাল, বিন, পেস্তা, ফল, বাদাম, ফর্টিফায়েড ব্রেকফাস্ট সিরিয়ালে থাকে ননুহিম আয়রন- যা সহজে শোষিত হতে পারে না। তবে সঙ্গে ভিটামিন সিসমৃদ্ধ খাবার যেমন- লেবু, কমলা, আমলকি বা অন্য টক ফল খেলে শোষণের হার বাড়ে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক