ক্যান্সার ঝুঁকি হ্রাসে অভ্যাসের পরিবর্তন
প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
স্বাস্থ্যসচেতন ও একটু সতর্ক হয়ে জীবনযাপন করলে যে কেউ শুধু ক্যান্সার নয়, যে কোনো রোগ এড়িয়ে সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন। স্বাস্থ্যের কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে অবিরাম সুস্থ থাকা সম্ভব। খাবারে ও স্বভাবে লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা ক্যান্সারসহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ। রোগ চরমে পৌঁছালে আমরা ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই। রোগ নিরূপণের পর অসুস্থ অবস্থায় অগত্যা ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী চলি। অথচ সুস্থ অবস্থায় সতর্ক হলে সবসময় সুস্থ থাকতে পারি।
ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার ও স্বভাব, সেসব পরিত্যাগের জন্য নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রচলিত একটি প্রবাদ- 'রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম', ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এ প্রবাদের তাৎপর্য প্রবল।
অভ্যাসের পরিবর্তন
ফুসফুস, সূত্রথলি, মুখ ও ত্বকের ক্যান্সারের জন্য অনেকাংশে মানুষই দায়ী। এ ধরনের ক্যান্সার সহজেই প্রতিরোধযোগ্য। এসব ক্যান্সারে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ মৃতু্যর জন্য মানুষের স্বভাব ও বদভ্যাস দায়ী। ক্যান্সারে ৩০ শতাংশ মৃতু্যর সঙ্গে ধূমপানের সম্পর্ক রয়েছে। ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস হয় পর্যাপ্ত ফল ও শাকসবজি গ্রহণ এবং চর্বি-জাতীয় খাদ্য পরিহারের অভ্যাসের মাধ্যমে।
রিস্ক ফ্যাক্টর * ভাইরাস : এইচপিডিভ, হেপাটাইটিস বি ও সি * ব্যাকটেরিয়া : যবষরপড়নধপঃবৎ ঢ়ুষড়ৎর : গর্ভধারণ : গর্ভধারণের বয়স ও সংখ্যা * পরিবেশ ও পেশা- তেজস্ক্রিয়া, ধোঁয়া, রেডন, এসবেসটস, বিষাক্ত জৈব যৌগ, কীটনাশক প্রভৃতি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় * জিন : কিছু ক্যান্সারের বিস্তার মানুষের বংশপরম্পরায় ঘটে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাধারণ কৌশল
* তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ রোধ।
* শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়মিত সঞ্চালন
* প্রতিদিন ফল, শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ
* চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন
* অ্যালকোহল গ্রহণে পরিমিতিবোধ
* রোদে নিয়ন্ত্রিত বিচরণ