ইসবগুলের ভুসির উপকারিতা

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইসবগুলের ভুসি তৈরি হয় চষধহঃধমড় ঙাধঃব গাছের বীজ থেকে। এটি একটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ। প্রতি ১০০ গ্রাম ইসুবগুলের ভুসিতে রয়েছে ৭১ গ্রাম দ্রবণীয় ডাইটারি ফাইবার। ১। কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে : ইসবগুলের ভুসি পাকস্থলীতে পানির সংস্পর্শে আসা মাত্র জেল তৈরি করে ও স্টুলের ভলিউম বৃদ্ধি করে কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে। ২। পেটের সমস্যা দূর করে : পাকস্থলী ঠান্ডা বা শীতল রাখতে ও হজমের সমস্যা দূর করতে ইসবগুলের তুলনা নেই। পেটব্যথার উপশম করে ইসবগুলের ভুসির শরবত। এ ছাড়া আইবিএসের সমস্যা সমাধানে ভালো ফল দেয় ইসবগুলের ভুসি। যারা আমাশয়ে ভুগছেন, তাদের জন্যও ইসবগুল ভালো। যারা আমাশয়ে ভুগছেন, তাদের জন্যও ইসবগুল ভালো। ৩। ওজন কমাতে সাহায্য করে : আহার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে ১০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি এক গস্নাস পানিতে মিশিয়ে খেলে, খাওয়ার সময় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছা প্রশমিত করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৪। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : ইসবগুলের ভুসি একটি হাইপোকোলেস্টেরলিক ফুড, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (ঐউখ) পরিমাণ কমায় ও ভালো কোলেস্টেরলের (ঐউখ) পরিমাণ বাড়ায়। এ ছাড়া এটি রক্তে ট্রাই-গিস্নসারাইডের পরিমাণ কমায়। ফলে হৃদরোগ ঝুঁকি কমে। ৬। রক্তে গস্নুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে : ইসবগুলের মাত্রাধিক দ্রবণীয় ডাইটারি ফাইবার আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের খাদ্য শোষণ ভিলাইয়ের ওপর এক জালকের সৃষ্টি করে ফলে ধীরে ধীরে রক্তে গস্নুকোজ শোষিত হয় এবং রক্তে গস্নুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৭। ডাইরিয়া কমাতে : ডাইরিয়ার সময় ইসবগুলের ভুসি ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে অতিরিক্ত পানি শুষে নেয় ও স্টুলকে ঘন করে ও বারবার টয়লেটে যাওয়া থেকে বিরত রাখে। ৮। অর্শরোগে : কোষ্ঠবদ্ধতা অর্শরোগের প্রধান কারণ। তাই অর্শরোগীরা নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেলে ভালো উপকার পাবেন। ৯। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া : যে কোনো কারণে প্রস্রাব হলুদ হয়ে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে, ইসবগুলের ভুসি তা সারাতে সাহায্য করে। ১০। যৌনতা বৃদ্ধি করতে : প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গস্নাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে মধু ও ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়। ১১। হাত-পা জ্বালাপোড়া : মাথা ঘোরা বা হাত-পা জ্বালাপোড়া হলে এক গস্নাস আখের গুড়ের শরবতের সঙ্গে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক