সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ত্রিশের পর এড়িয়ে যাবেন যে খাবার ত্রিশ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। একে জীবনের একটি বাঁকও বলা যেতে পারে। যৌবনের মাঝামাঝি এ সময়টাতে শরীর ও মনের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। সারা জীবন সুস্থ থাকতে হলে এ সময়টা থেকে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রয়োজন নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ত্রিশের পর সুস্থ থাকতে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ত্রিশের পর এড়িয়ে যাওয়া ভালো এমন কিছু খাবারের তালিকা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক। আসুন জানি সেগুলো : ১. মদ্যপান অ্যালকোহলের মধ্যে ক্যালরি রয়েছে। ৩০ বছরের পর শরীরের এই বাড়তি ক্যালরি ঝরাতে কষ্ট হয়। অ্যালকোহল ইনসুলিনের মাত্রাকেও বাড়িয়ে দেয়। এতে দেহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান কার্বোহাইট্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়। এতে ওজন বাড়ে। তাই ত্রিশের পর মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ২. কৃত্রিম চিনি চিনিকে হোয়াইট পয়জন বা সাদা বিষ বলা হয়। কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খাওয়া ক্যানসার ও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ত্রিশের পর এ খাবার যত কম খাওয়া যায়, তত মঙ্গল। ৩. অতিরিক্ত চা ও কফি পান দুধ-চিনিযুক্ত কফি বা চা পান ত্বকের লাবণ্যতা ও সৌন্দর্য নষ্ট করে। চায়ে থাকে ক্যাফেইন, দুধে থাকে ক্যাজেইন। এ ছাড়া দুধ ও চা শরীরকে পানিশূন্য করে দেয়। এতেও ত্বকের ক্ষতি হয়। আর ৩০ বছরের পর যেহেতু ত্বক ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে এগোতে থাকে, তাই অতিরিক্ত চা ও কফি না খাওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দুধ চা বা দুধ কফি খাওয়ার পরিবর্তে ভেষজ চা খাওয়া যেতে পারে। ৪. সাদা আটা ত্রিশ বছরের পর শরীরের দরকার ভালো কিছু। তাই এ সময় থেকে সাদা আটার রুটি এড়িয়ে যেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। শরীর আটাকে গস্নুকোজে রূপান্তর করে। আর গস্নুকোজ দ্রম্নত চর্বি জমায়। এর পরিবর্তে লাল আটার রুটি খাওয়া যেতে পারে বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক ডিমের উপকারিতা সবারই পছন্দের খাবার হলো ডিম। সকালে ডিম ছাড়া যেন নাশতাই করা হয় না। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ডিম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ডিম সেদ্ধ, ডিম পোচ, অথবা ডিম দিয়ে যে কোনো রান্না খুবই জনপ্রিয় বিশ্বজুড়ে। আপনি হয়তো জানেন যে, ডিম আমাদের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী, কিন্তু কিভাবে আপনার উপকার করে এ ডিম? জেনে নিই উপকারিতাগুলো সম্পর্কে। মস্তিষ্কের জন্য উপকারী : ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে কলিন, যা নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের হাড় মজবুত করে : ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, যা আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে এবং ডিমে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি অস্টিওপরোসিস বন্ধ রাখে এবং দেহের হাড় মজবুত হতে সাহায্য করে। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে : আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন-সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। নখ ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে : ডিমে আছে সালফার-সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড, যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করে না আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত ও আকর্ষণীয় করে তোলে। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে : ডিমে অবস্থিত লুটিন ও জেক্সানথিন এ দুটি ক্যারটিনয়েড আমাদের চোখের সুস্থ দৃষ্টি নির্ধারণে সাহায্য করে। স্তন ক্যান্সার রোধ করে : গবেষণার পরামর্শ অনুযায়ী বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ছয়টি করে ডিম খেলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৪০% কমে যায়। ডিম সহজেই হজম হয় : ডিম খুব দ্রম্নত হজম হয়ে যায় আমাদের দেহে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক