সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভিটামিন ‘বি’ কিডনির ক্ষতি করে ডায়াবেটিসগ্রস্ত প্রায় ৪০% ব্যক্তি কিডনি রোগের শিকার হয়। উচ্চমাত্রার ভিটামিন গ্রহণের ফলে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যায়। কানাডিয়ান গবেষকরা টাইপ-১ অথবা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট ১ থেকে ৩ স্তরের পুরনো কিডনি রোগগ্রস্ত ২৩৮ ব্যক্তির ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেন। রোগীদের প্রত্যেকে প্রতিদিন ‘বি’ ভিটামিন ফলিক এসিড (২৫০০ মাইক্রো গ্রাম), ভিটামিন বি ৬ (২৫ মিলিগ্রাম) এবং ভিটামিন ১২ (১০০০ মাইক্রোগ্রাম) খেতে দেয়া হয়। পূবর্বতীর্ এক সমীক্ষায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছিল যে, ‘বি’ ভিটামিন রক্তে হোমো-সেস্টাইনের মাত্রা কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। হোমো-সেস্টাইন এক ধরনের এমাইনো এসিড, যার সঙ্গে ডায়াবেটিসগ্রস্ত ব্যক্তিদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝঁুকি রয়েছে। সমীক্ষা শুরুর তিন বছর পর দেখা যায় যাদের উচ্চমাত্রার ‘বি’ ভিটামিন দেয়া হয়েছিল, তাদের কিডনির কাযর্কারিতা গ্রহণকারীদের তুলনায় বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং ভিটামিন গ্রহণকারীদের মধ্যে ২৪ জন, গ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ১৩ জন হৃদরোগ অথবা সন্ন্যাস জাতীয় হৃদসংবহন রোগের শিকার হয়েছে। তাই চিকিৎসকদের নিদের্শ অনুযায়ী বি ভিটামিন সেবন করুন। একটি আদশর্ মাল্টি ভিটামিন বড়িতে থাকে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড, ২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ এবং ৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি১২। য় ইন্টারনেট ঢেঁকিছঁাটা চালের পুষ্টিগুণ পলিশ করা সরু চালের ভাত সবার পছন্দ এবং এই ভাত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। শুধু আমাদের দেশই নয়, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং এ ধরনের পলিশ করা সাদা চাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের পরামশর্ দেয়া হয়েছে। বাদামি, মোটা চালের ভাত তাদের পক্ষে উপকারী বলে জানা গেছে। পলিশ করা সাদা চালের তুলনায় বাদামি চালে আছে উচ্চমাত্রার তন্তু, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি আবার অঙ্কুরিত বাদামি চাল আরও ভালো। কারণ অঙ্কুরোদগম নিস্ক্রিয় এনজাইমের কাযর্ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে অঙ্কুরিত বাদামি চালের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। অতএব পুরনো দিনের লাল মোটা চালের ভাত খাওয়ার দিন এগিয়ে আনতে হবে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক সুস্থতার জন্য কাজু বাদাম সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন কয়েকটি কাজু বাদাম খেতে পারেন। এতে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কপার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্কসহ বিভিন্ন উপকারী উপাদান থাকে। তবে অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন ৩-৪টি কাজু বাদাম খেতে পারেন। এতে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। জেনে নিন নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়া জরুরি কেন। কাজু বাদামে রয়েছে ফসফরাস, যা নানা ধরনের মুখগহŸর সম্পকির্ত রোগকে দূরে রাখে। কাজু বাদাম শরীরের আয়রনের ঘাটতি দূর করে। ফলে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কপার হলো সেই খনিজ, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করে। এ ছাড়া কাজু বাদামে থাকা কপার শরীরের এমন কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রংকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। পাশাপাশি এতে থাকা প্রম্যান্থোসায়ানিডিন নামক উপাদান বিভিন্ন ধরনের টিউমার থেকে দূরে রাখে। মস্তিষ্কের সুস্থতায় নিয়মিত কাজু বাদাম খাওয়ার বিকল্প নেই। কাজুতে রয়েছে ওলিসিক নামক এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, যা দেহের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এসব উপাদান হাড়ের শক্তি বাড়ায়। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক