গরমে ঘামাচি থেকে রক্ষা পেতে

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গরমকালের বিব্রতকর একটি রোগের নাম হচ্ছে ঘামাচি, এ রোগটি গরমকালেই হয়। শীত হলে আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ রোগটির নাম হলো মিলিয়ারিয়া। এটি একটি ঘমর্গ্রন্থির রোগ। ঘমর্গ্রন্থির পথ অতিরিক্ত আদ্রর্তা আর গরমে বন্ধ হয়ে এ রোগের সৃষ্টি করে। তবে অথৈর্নতিকভাবে সচ্ছলতা থাকলে এ রোগটি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। যেমন ধরুন কোনো ব্যক্তি যদি ঘরে, অফিসে এবং গাড়িতে এয়ারকুলার ব্যবহার করেন তবে বলা যায় আর এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা গরমকালেও নেই। যারা তা পারেন না তাদের সবসময়ই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। অথার্ৎ একটি ফ্যান অন্তত সাবর্ক্ষণিভাবে মাথার ওপর রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। খোলামেলা অথার্ৎ আবদ্ধ ঘর না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। গ্রীষ্মকালে দেহ থেকে প্রচুর ঘাম নিঃসরণ হয়ে থাকে। ফলে তখন এত বেশি পরিমাণ নিঃসরণ বা ঘাম কেবল ঘমর্নালির সরু ছিদ্রপথে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় না। ফলে ওই নিঃসরণ ঘমর্গ্রন্থির নালিকে ফুটো করে ত্বকের নিচে এসে জমা হতে থাকে, যা পানিভতির্ ছোট ছোট দানার আকারে ফুলে উঠতে দেখা যায় এবং যা চুলকায়, তাতে সামান্য জ্বালাপোড়া ভাবও থাকে। মূলত এটা হচ্ছে ঘামাচি, ঘামাচি তিন ধরনের হয়, প্রথমটি হলো মিলিয়ারিয়া ক্রিস্টালিনা। এ ক্ষেত্রে ত্বক দেখতে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। সাধারণত এ ক্ষেত্রে কোনো উপসগর্ থাকে না। দ্বিতীয়টি অথার্ৎ মিলিয়ারিয়া রুববার ক্ষেত্রে ত্বকের ওপর ছোট ছোট অসংখ্য গোটা হতে দেখা যায় এবং গোটার মাথায় পানির দানা থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে আপেক্ষিকভাবে লালচে রঙের দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে থাকে প্রচÐ চুলকানি, যা শরীরের মূল অংশ অথার্ৎ বুক, পিঠ ও ঘাড়ে বেশি হতে দেখা যায়। তৃতীয়টি বা মিলিয়ারিয়া প্রফান্ডার ক্ষেত্রে ঘমর্নালির বদ্ধতা থাকে ত্বকের অনেক গভীরে। ফলে ত্বক দেখতে অনেকটা স্বাভাবিক ধরনের বলে মনে হতে পারে। এ তিনটির মধ্যে দ্বিতীয়টির আক্রমণ হয় বেশি তীব্র। এতে হিট র‌্যাশ বলা হয়ে থাকে। গরম ও স্যঁাতসেঁতে আবহাওয়ায় এ রোগ বেশি হয়। তেল মাখলে এ রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। যারা এ রোগে ভুগছেন তারা গরম স্যঁাতসেঁতে ও আবদ্ধ পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন হলে একজন চমের্রাগ বিশেষজ্ঞর পরামশর্ নিন। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক