শরীর ও মুখের যতেœ ফলিক এসিড

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফলিড এসিড হলো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি৯ যা রক্তস্বল্পতায় আয়রনের সঙ্গে প্রদান করা হয়। কোনো কোনো সময় যেমন গভার্বস্থায় শুধু ফলিক এসিডও প্রদান করা হয়। ফলিক এসিড ও আয়রন এক কথা নয়। ফলিক এসিড ফলেট নামেও পরিচিত। ফলিক এসিড বা ফলেট ভিটামিন বি পরিবারের সদস্য। ফলিক এসিড পাওয়া যায় তাজা সবুজ শাকসবজি এবং কলিজাতে। যেহেতু ফলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় তাই এটি শরীরে সঞ্চিত থাকে না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করা ফলিড এসিড প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হয় অস্থিমজ্জাতে। লোহিত রক্তকণিকা মাত্র ৪ মাস বেঁচে থাকে। তাই আবার লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে শরীরের প্রয়োজন হয় আয়রন, ভিটামিন বি ১২ এবং ফলিক এসিড। অতএব, দেখা যাচ্ছে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ফলিক এসিডের গুরুত্বপূণর্ ভূমিকা রয়েছে। ফলিক এসিডের অভাবে শরীরে দুবর্লতা, ধূসর বণের্র চুল, মুখের আলসার এবং জিহŸায় ফোলাভাব দেখা যেতে পারে। মুখ এবং জিহŸার আলসার যদি ফলিক এসিডের অভাবের কারণে হয় তবে সে ক্ষেত্রে ফলিক এসিড প্রদান না করলে কোনোভাবেই মুখের আলসার ভালো হবে না। ফলিক এসিড এন্টি এপিলেপটিক ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। তাই মৃগী রোগীদের ফলিক এসিড গ্রহণ করতে হলে যথাযথ মাত্রায় তা সেবন করতে হবে। আমাদের দেশে মুখে বা জিহŸায় আলসার হলে মুখস্থ রিবোফ্লাভিন ট্যাবলেট খেতে দেয়া হয়। এ কথা সত্য যে রিবোফ্লাবিন বা ভিটামিন বি২ মুখের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে কিন্তু মুখের আলসার যদি ফলিক এসিডের অভাবের কারণ হয় তবে সে ক্ষেত্রে রিবোফ্লাভিন ভিটামিন বি২ রোগীকে খেতে দিলে মুখ বা জিহŸার আলসার ভালো হবে না। দৈনন্দিন খাদ্যদ্রব্যের তালিকায় ফলিক এসিড অনুপস্থিত থাকলে শরীরের ফলিক এসিডের অভাব হতে পারে। এছাড়া ক্ষুদ্রান্ত্রের সিলিয়াক ডিজিজেও ফলিক এসিডের অভাব হতে পারে। তাই শরীরের জন্য সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূণর্ এই ফলিক এসিড বা ভিটামিন বি৯-এর কোনো ঘাটতি যেন না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক