সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অকালে চুল পাকা ঠেকাতে অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। কখনও দীর্ঘদিন ধরে চলা হজমের সমস্যা বা লিভারের সমস্যায় অকালে চুলে পাক ধরে, কখনও বা মাথার ত্বকে পর্যাপ্ত ভিটামিন আর খনিজের অভাবে এমনটা হয়। কিন্তু কারণ যা-ই হোক না কেন, অসময়ে মাথায় পাকা চুল কেউ-ই পছন্দ করেন না। তবে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কয়েকটি বিশেষ খাবার-দাবার রাখতে পারলে সহজেই অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেয়া যাক। অকালে চুল পেকে যাওয়া ঠেকাতে খাবার তালিকায় রাখুন এই ৭ খাবার: বাদাম: আখরোটে, আমন্ড বা যে কোনো ধরনের বাদামেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী! অকালে চুল পাকার সমস্যা ঠেকাতে বাদাম তেলও মাথায় মেখে দেখুন। উপকার পাবেন। সবুজ শাকসবজি : যে কোনো সবুজ শবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলিক অ্যাসিড যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি অকালে চুল পাকার সমস্যা ঠেকাতেও সাহায্য করে। ছোলা: ছোলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৯ বা ফোলিক অ্যাসিড। তাই অকালে চুল পেকে যাওয়া ঠেকাতে প্রতিদিন ছোলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। মুরগির মাংস: মুরগির মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ আর ফোলিক অ্যাসিড যা অকালে চুল পেকে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে। লিভার বা মেটে: পাঁঠার মাংসের লিভার বা মেটেতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ যা অকালে চুলে পাক ধরা ঠেকাতে সাহায্য করে। চিংড়ি : অকালে চুলে পাক ধরার সমস্যা ঠেকাতে পাতে রাখুন চিংড়ি। চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক যা চুলের গোড়ার রঞ্জক ধরে রেখে অকালে চুল পাকার সমস্যা রোধে সাহায্য করে। স্যামন মাছ: এই মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- যা চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী! য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক স্ট্রোকের ঝুঁকি? খান শাকসবজি শাকসবজি বিশেষত যেগুলো সবুজ সেগুলো দারুণ স্বাস্থ্য-হিতকর। টাটকা ও সবুজ শাকসবজি বহু জটিল রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ টাটকা শাকসবজি রাখলে তা 'স্ট্রেস' কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায় অনেকটা। আমরা জানি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর নাগরিক জীবনে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকিঁ থাকে আরো বেশি। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে আমাদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ৬৪ শতাংশ কম থাকে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিও হ্রাস পায় অনেকটা। তাই, যদি স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চান, তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টাটকা সবুজ শাকসবজি রাখুন, ভালো থাকুন। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক টনসিলের কষ্ট কমাতে হাল্কা গলা ব্যথা, খেতে সমস্যা, প্রায়ই ভুগতে হয় এরকম সমস্যায়। আপনি নিজেও জানেন এটা টনসিলের ব্যথা। অনেকের ক্ষেত্রেই এই ব্যথা কষ্টকর হয়ে ওঠে। ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে টনসিলের ব্যথা হয়। সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসগুলোই টনসিলের সংক্রমণের জন্য দায়ী। তবে আপনি নিজেও ঘরোয়া উপায়ে টনসিলের ব্যথা দূর করতে পারেন। কী করবেন? ১। লবণ-পানি: উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ নিয়ে গার্গল করলে টনসিল ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া সম্ভব। গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও দূর হয়ে থাকে। ২। আদা দিয়ে চা: দেড়-দু'কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৪-৫ বার এভাবে চা খেলে উপকার পাবেন। আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। ফলে টনসিলের ব্যথা কমে যায়। ৩। গরম পানি ও লেবুর রস : এক গস্নাস সামান্য গরম পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, হাফ চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। টনসিলের ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী। ৪। চা পাতা ও মধু: এক কাপ গরম জলে হাফ চামচ গ্রিন টি ও এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এই চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। ৫। হলুদ ও দুধ: দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক