লেবুর রসে কিডনি পাথর বিদায়!

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পাতিলেবুর রস আর এক পস্নাস পানি। এই দুটি জিনিস একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলেই মুক্তি পেতে পারেন কিডনি পাথরের মতো জটিল রোগ থেকে। এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু কিডনি পাথর থেকেই মুক্তি মিলবে এমন নয়। পাতিলেবুর রস আর এক গস্নাস পানি পারে আপনাকে-আমাকে আরও অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে। বাঙালির রান্নাঘরেই থাকে পাতিলেবু। কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে কজনই বা অবহিত? জানেন কি, খালি পেটে প্রতিদিন সকালে এক গস্নাস পানিতে আধখানা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করলে মুক্তি পেতে পারেন অনেক সমস্যা থেকে। বিশেষ করে কিডনির পাথর। কিডনিতে পাথরের সমস্যা নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, পেটব্যথা ও বমির সমস্যা হতে পারে। কিডনি মানবদেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনি ছাড়া একজন মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করাই যায় না। কিডনি মানবদেহের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেয়। এ ছাড়া দেহের পানি, কেমিক্যাল ও ধাতুর সমতা ঠিক রাখে এই অঙ্গ। সম্প্রতি কিডনির পাথরের সমস্যা বেড়েই চলছে। অনেকেরই কিডনিতেই পাথর ধরা পড়ছে ও একটি পাথর একাধিক পাথরের উৎপাদন করছে। একটি থেকে এই একাধিক পাথর সারা পেটে ছড়িয়ে পড়ছে। পাথরগুলো দেখতে অনেকটা ধূসর রঙের। দেখলে সাধারণ পাথরের মতো মনে হয়। কিডনিতে পাথর হলে কিডনি আস্তে আস্তে তার কার্যকারিতা হারায়। পেটে প্রচন্ড ব্যথা হতে থাকে। সাধারণ কিডনিতে পাথর হলে তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়া হয়। কিডনি পাথর ৪ রকমের হয়ে থাকে। এক ধরনের কিডনির পাথর বংশানুক্রমে হয়। অন্য ৩ রকমের কিডনি পাথর ৮০ শতাংশ ক্যালসিয়ামভিত্তিক। পরিবারের কারও কিডনিতে পাথর হয়ে থাকলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দীর্ঘদিন কিডনির রোগ থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাতিলেবুর রসে থাকে সাইট্রিক এসিড। এটা ক্যালসিয়ামজাত পাথরগুলোকে তৈরি হতে দেয় না। এ ছাড়া বড় আকারের পাথরগুলোকে সাইট্রিক এসিড ছোট টুকরোতে ভেঙে দিতে পারে। যাতে সেগুলো সহজেই সরু মূত্রনালি দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে এবং ব্যথা কমায়। শুধু কিডনিই নয়। পাতিলেবুর রসে রয়েছে আরও নানা গুণ। দেহের শক্তি বাড়ায় পাতিলেবুর রস। ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে উপকারী। এক গস্নাস পানিতে আধখানা পাতিলেবুর রস গুলে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে বন্ধ নাক থেকে মুক্তি মেলে। কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে। ওজন কমায়। দাঁতব্যথা কমায়। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। চোখ ভালো রাখে। ত্বক পরিষ্কার রাখে। লিভার পরিষ্কার রাখে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক