সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হাত-পা ঝিনঝিন করলে বা অবশ মনে হলে... দৈনন্দিন প্রাকটিসিং জীবনে কিছু রোগী পাই যারা হাত অথবা পায়ে ঝিনঝিন বা অবশ অনুভূত হয় এ ধরনের উপসর্গ নিয়ে আমাদের শরণাপন্ন হন। কিছু দিন ধরে এ ধরনের সমস্যাজনিত রোগী বেশি দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলেন রাতে একদিকে কাত হয়ে শুলে খানিকক্ষণ পর ওই পাশের হাত ও পা ঝিনঝিন করে, অবশ অবশ অনুভূত হয়, তারপর শোয়া থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে স্বাভাবিক হয়ে যায়, যে কারণে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে হাতে কোনো জিনিস কিছু সময় ধরে রাখলে হাত ঝিনঝিন বা অবশ অবশ মনে হয়, কিছুক্ষণ পর আর ধরে রাখতে পারেন না, এমনকি মোবাইলে কথা বলার সময় বেশিক্ষণ সেটটি কানে ধরে রাখতে পারেন না। আসুন আমরা জেনে নিই কী কী কারণে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে আমাদের হাত অথবা পায়ে ঝিনঝিন বা অবশ অবশ অনুভূত হতে পারে। যেমন- ১. আমাদের হাত ও পায়ের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে। ২. সারভাইক্যাল স্পাইন বা ঘাড় ও লাম্বার স্পাইন বা কোমরে নার্ভ বা স্নায়ুর ওপর চাপ লেগে থাকলে। ৩. শোবার বিছানা বেশি নরম হলে। ৪. কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে- সারভাইক্যাল স্পনডাইলোসিস, কারপাল টানেল সিনড্রোম, লাম্বার স্পনডাইলোসিস, ভেরিকোজ ভেইন বা ডিপ ভেইন থ্রোমবোসিস, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, মোটর-নিউরন ডিজিজ ইত্যাদি। ৫. ভিটামিন বা মিনারেলের অভাবের কারণে। আমরা অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে এ ধরনের সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দিই না, যার ফলে রোগটি পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করে যখন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন এবং কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিন। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক ডিমের সাতটি উপকারিতা সবারই পছন্দের খাবার হলো ডিম। সকালে ডিম ছাড়া যেন নাশতাই করা হয় না। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ডিম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ডিম সেদ্ধ, ডিম পোচ, অথবা ডিম দিয়ে যে কোনো রান্না খুবই জনপ্রিয় বিশ্বজুড়ে। আপনি হয়তো জানেন যে, ডিম আমাদের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী, কিন্তু কিভাবে আপনার উপকার করে এ ডিম? জেনে নিই উপকারিতাগুলো সম্পর্কে। মস্তিষ্কের জন্য উপকারী : ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে কলিন, যা নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে আমাদের দেহকে সুস্থ রাখে। ডিম আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের হাড় মজবুত করে : ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, যা আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে এবং ডিমে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি অস্টিওপরোসিস বন্ধ রাখে এবং দেহের হাড় মজবুত হতে সাহায্য করে। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে : আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিমের উপকারিতা অনেক। যারা পেশির ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য প্রোটিন-সমৃদ্ধ ডিম উপযুক্ত। নখ ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে : ডিমে আছে সালফার-সমৃদ্ধ অ্যামিনো অ্যাসিড, যা আমাদের হাতের নখের স্বাস্থ্যই শুধু উন্নত করে না আমাদের চুলের স্বাস্থ্য মজবুত ও আকর্ষণীয় করে তোলে। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে : ডিমে অবস্থিত লুটিন ও জেক্সানথিন এ দুটি ক্যারটিনয়েড আমাদের চোখের সুস্থ দৃষ্টি নির্ধারণে সাহায্য করে। স্তন ক্যান্সার রোধ করে : গবেষণার পরামর্শ অনুযায়ী বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ছয়টি করে ডিম খেলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৪০% কমে যায়। ডিম সহজেই হজম হয় : ডিম খুব দ্রম্নত হজম হয়ে যায় আমাদের দেহে। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক উজ্জ্বল ত্বক ব্রণের সমস্যায় নারী-পুরুষ সবাই পড়ে থাকেন এবং আরো যে সমস্যাটি হয় তা হচ্ছে ব্রণের ক্ষত বা দাগ ত্বকে রয়ে যায়। এসব দাগ একেবারে দূর করতে কোনো নামিদামি ব্রান্ডের ত্বকের প্রোডাক্টই কার্যকর হয় না। কিন্তু রাতে খুব সামান্য যত্নে সহজেই মুক্ত থাকতে পারেন এই যন্ত্রণাদায়ক ব্রণ ও এর ক্ষত এবং দাগ থেকে। সেই সঙ্গে পেতে পারেন সুস্থ উজ্জ্বল ত্বক। জানতে চান কিভাবে? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক- ক. প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এরপর ফেস স্টিমারের সাহায্যে কিংবা একটি সসপ্যানে গরম পানি নিয়ে মুখের ত্বকে ১০ মিনিট গরম ভাপ নিন। খ. এরপর একটি টমেটো মাঝে দুই ভাগ করে নিয়ে কাটা অংশ চিনিতে লাগিয়ে নিন। এবার চিনি লাগানো অংশ পুরো মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আলতো করে ঘষে নিন। এটি স্ক্রাবারের মতো কাজ করবে। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। গ. এরপর একটি বাটিতে ৩ টেবিল চামচ টক দই নিন এবং এতে মেশান চার ভাগের এক ভাগ চা-চামচ হলুদের গুঁড়া। ঘ. ভালো করে ত্বকে লাগিয়ে নিন ফেস মাস্কটি। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ত্বক ভালো করে ধুয়ে নিন। য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক