পরোক্ষ ধূমপানও ক্ষতিকর

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
ধূমপায়ী ধূমপান করে শ্বাস ছাড়ার সময় বেশ ধেঁায়া ছেড়ে দেন বাতাসে। সেই ধেঁায়ার সঙ্গে যোগ হয় সিগারেট জ্বলার সময়, সিগারেট থেকে সরাসরি নিগর্ত ধেঁায়া। ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকা অধূমপায়ী লোকের শরীরে এ ধেঁায়া ঢুকে যায় শ্বাসের মাধ্যমে তাদের অনীহা সত্তে¡ও। এটাই পরোক্ষ ধূমপান। পরোক্ষ ধূমপান হতে পারে বাসাবাড়িতে। বাবা ধূমপান করছেন, পাশে সন্তানরা, হতে পারে অফিসে বা কমর্স্থলে। আপনি ধূমপান করছেন না। কিন্তু পাশের সহকমীর্ করছেনÑ হতে পারে রেস্টুরেন্টু, যানবাহনে, বাজারে এবং জনসমাগম হয় এরূপ অন্যান্য স্থানে। ধূমপায়ীদের ছেড়ে দেয়া ধেঁায়া এবং জ্বলন্ত সিগারেট থেকে সরাসরি ধেঁায়া এ দুই ধেঁায়ার মাধ্যমে তামাকে থাকা সব বিষাক্ত রাসায়নিক পদাথর্ই বাতাসে ছড়িয়ে যায়। শ্বাসের মাধ্যমে ধূমপায়ীর আশপাশে থাকা অধূমপায়ীর শরীরে এসব রাসায়নিক পদাথর্ প্রবেশ করে। কারণ হয়ে দঁাড়ায় অধূমপায়ীর শরীর ক্ষতিকর। পরোক্ষ ধূমপান প্রত্যক্ষ ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে সঙ্গে সঙ্গে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যালাজির্ বেশি তাদের অ্যালাজির্র লক্ষণ বেড়ে যেতে পারে। যেমন হঁাচি আসা, কাশি হওয়া, চোখ জ্বালা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক ঝরা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। যাদের হঁাপানি আছে তাদের হঁাপানি অ্যাটাক হতে পারে, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। পরোক্ষ ধূমপানের জন্য দীঘির্দন পরও শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা অবশ্য নিভর্র করবে একজন কী হারে এবং কতদিন পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে তার ওপর। দীঘির্দন পরোক্ষ ধূমপান করলে কী কী স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে? হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, গভর্পাত, বাচ্চার জন্মগত ত্রæটি ইত্যাদি। দেখা গেছে, বাসাবাড়িতে ধূমপান করলে বাড়ির অধূমপায়ী সদস্যদের পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। কমের্ক্ষত্রে পরোক্ষ ধূমপায়ীদের এ সম্ভাবনাও প্রায় ২০ শতাংশ। বাসাবাড়িতে পরোক্ষ ধূমপায়ী শিশুদের হঁাপানি, ব্রঙ্কাইটিস ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, অন্যান্য অ্যালাজির্ হওয়ার আশঙ্কাও যথেষ্ট। দুই বছরের কমবয়সী শিশুদের শ্বাসনালির বা ফুসফুসের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। সুতরাং পরোক্ষ ধূমপানের প্রশ্নে শিশু ও মহিলাদের কথা একটু বেশি মনে রাখতে হবে। সুতরাং যারা সরাসরি ধূমপান করেন না, পরোক্ষভাবে ধূমপান করিয়ে তাদের শরীরের ক্ষতি করা কোনো মতেই কাম্য নয়।