অতিরিক্ত লবণ কেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

শরীরে অতিরিক্ত লবণ প্রবেশ করলে তা খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যা মস্তিষ্ক, কিডনি, আথার্ইটিস এবং হৃৎপিÐের ওপর প্রভাব ফেলে। এমনকি শরীরে লবণের ভারসাম্য ঠিকমতো না হলে মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে।

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি হেলথ ডেস্ক
শরীর সুস্থ রাখার জন্য সোডিয়াম বা লবণের প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ মাংসপেশির গঠন, স্নায়ুর কাযর্ক্ষমতা, শরীরের তরলের ভারসাম্য বজায় রাখার পদ্ধতি এবং শরীরের ভারসাম্য রাখার জন্য সোডিয়াম খুবই দরকারি উপাদান। তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ শরীরে প্রবেশ করে তাহলে তা খারাপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যা মস্তিষ্ক, কিডনি, আথার্ইটিস এবং হৃৎপিÐের ওপর প্রভাব ফেলে। এমনকি শরীরে লবণের ভারসাম্য ঠিকমতো না হলে মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে। গোটা বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকানরা সবচেয়ে বেশি লবণ খায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দিনে ৫ গ্রাম লবণ খাওয়া উচিত। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকানরা দিনে গড়ে ৮ দশমিক ৫ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে। এ কারণে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ হৃদরোগ, স্ট্রোক বা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করলে হৃদরোগ সম্পকির্ত জটিলতা বাড়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তজাির্তক সংস্থা ‘দ্য বিএমজি’ থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যুক্তরাজ্যের ‘দ্য জানার্ল অফ নিউট্রিশন, হেলথ অ্যান্ড এজিংয়ের তথ্যানুযায়ী, বেশি সোডিয়ামসমৃদ্ধ খাবার উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া এ ধরনের খাবার বয়স্কদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীরে পানি আসে। এতে হাত-পা ফুলে যেতে পারে। অনেকে খাবারের স্বাদ বাড়াতে বাড়তি লবণ যোগ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের প্রবণতা উচ্চরক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যা কিডনির জন্যও ক্ষতিকর হয়ে দঁাড়ায়। অনেক প্যাকেটজাত খাবারে অতিরিক্ত লবণ দেয়া থাকে। যা ভবিষ্যতে পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণ হয়ে দঁাড়ায়।