সর্বরোগের মহৌষধ কালোজিরা তেল!

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
কালোজিরা আমাদের সবারই পরিচিত। খাবারে একটু ভিন্ন স্বাদ আনতে কালোজিরার তুলনা নেই। কিন্তু কালোজিরার ব্যবহার শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্যই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে আরও অনেক ব্যবহার। প্রাচীনকাল থেকেই প্রায় সব ধরনের সভ্যতায় এর ব্যবহারের কথা উলেস্নখ করা হয়েছে। কালোজিরার বীজ থেকে তৈরি হয় কালোজিরা তেল। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই আসুন জেনে নিই কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের উপকারিতাগুলো। কালোজিরা তেলের উপকারিতা 'বুখারি শরিফ' এ বলা হয়েছে, 'তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সব রোগের নিরাময় ইহার মধ্যে নিহিত রয়েছে- মৃতু্য ছাড়া'। কালোজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এর মধ্যে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। এটি নিয়মিত সেবনে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। নিম্নে কালো জিরার তেল ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো উলেস্নখ করা হল: ১। এক চা চামচ পুদিনা পাতার রস বা কমলার রস অথবা এক কাপ রঙ চায়ের সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে দুশ্চিন্তা দূর হয় এবং মেধাবিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। ২। এক চা চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে তিন চারদিন খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দিকাশি দূর হয়। ৩। বাতের ব্যথায় আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কালোজিরার তেল মালিশ করলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ৪। যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কালোজিরার ভর্তা রাখুন। এ ছাড়াও, কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার অবসান ঘটায়। ৫। নিয়মিত কালোজিরা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। উলিস্নখিত এসব উপকারিতা ছাড়াও কালোজিরার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে প্রায় সব ধরনের শারীরিক অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কালোজিরার এত গুণাগুণ- যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কোথায় পাবেন ভালো মানের কালোজিরা? কোথায় পাবেন ভালো মানের কালোজিরা তেল? বাজারে যে কালোজিরা তেল পাওয়া যায় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভেজালযুক্ত, যা এখন খাওয়ার অনুপযোগী। এই ধরনের কালোজিরা খেলে স্বাস্থ্যের উপকারের তুলনায় অপকারই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারন নেই। অনলাইনে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম সংগ্রহ করতে পারেন।