কীভাবে বুঝবেন খাদ্যে ভেজাল আছে?

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
খাদ্যে ভেজাল আমাদের জীবনের অন্যতম বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যের ভেজাল শনাক্ত করা গেলে ভেজাল খাদ্য খাওয়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। সহজ কিছু কৌশলে শনাক্ত করা যায় খাদ্যের ভেজাল। চলুন তাহলে জেনে নিই বিভিন্ন খাবারের ভেজাল শনাক্ত করার কিছু সহজ উপায়। কীভাবে ভেজালযুক্ত খাবার চিনবেন? ১। কফির গুঁড়া কফিতে মিশ্রিত ভেজাল শনাক্ত করার জন্য ১ গস্নাস পানির উপরে সামান্য কফির গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। কফি পানির উপরে ভাসতে থাকলেও চিকোরি পানির নিচে চলে যাবে এবং রঙের সারি দেখা যাবে। ২। মরিচের গুঁড়া মরিচের গুঁড়ার ভেজাল শনাক্ত করার জন্য ১ গস্নাস পানিতে ১ চামচ মরিচের গুঁড়া মেশান। যদি পানির রঙ পরিবর্তিত হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে এই মরিচে ভেজাল আছে। ৩। হলুদের গুঁড়া ভেজাল নির্ণয়ের জন্য একটি টেস্ট টিউবে হলুদের গুঁড়া নিয়ে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা গাড় হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিন। যদি হলুদের রঙ গোলাপি, রক্তবর্ণ বা বেগুনি হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই বোঝা যায় যে, এতে ভেজাল আছে। ৪। সরিষা বীজ এবং তেল সরিষার ভেজাল নির্ণয়ের জন্য কয়েকটি সরিষা বীজ নিয়ে চূর্ণ করুন। বীজ চূর্ণ করলে এর ভেতরে সাদা গঠন দেখা যাবে। অন্যদিকে সরিষার বীজের ভেতরে হলুদ অংশ দেখা যাবে। ৬। আইসক্রিম আইসক্রিমের ভেজাল নির্ণয়ের জন্য এর উপর কয়েকফোটা লেবুর রস ফেলুন। যদি ফেঁপে ওঠে তাহলে এতে ওয়াশিং পাউডার থাকাকে নির্দেশ করে। ৭। সবুজ মরিচ ভেজাল নির্ণয়ের জন্য প্যারাফিনের মধ্যে সামান্য তুলা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এই তুলা দিয়ে মরিচের একটি অংশ অথবা যে কোনো সবুজ সবজির এক অংশে লাগিয়ে ঘষুন। তুলাটি সবুজ হয়ে গেলে বুঝতে আর বাকি থাকে না যে এর মধ্যে কৃত্রিম সবুজ রঙ মেশানো ছিল। ৮। ঘি একটি টেস্ট টিউবে ১ মিলিলিটার পানি নিয়ে এর মধ্যে ০.৫ গ্রাম ঘি মেশান এবং মিশ্রণটিতে তাপ দিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে এর মধ্যে ১ ফোঁটা আয়োডিন যোগ করুন। যদি এর রঙ নীল হয়ে যায় তাহলে বোঝা যায় যে, এর মধ্যে ভেজাল আছে। ৯। চিনি চিনির ভেজাল নির্ণয়ের জন্য ১ গস্নাস পানিতে চিনি মেশালে যদি সরাসরি নিচে চলে যায় তাহলে তা বিশুদ্ধ চিনি, আর যদি এর মধ্যে ভেজাল থাকে তাহলে এটি পানির উপরে ভাসতে থাকবে। ১০। গোলমরিচ কয়েকটি গোলমরিচ যদি অ্যালকোহলের মধ্যে দেয়া হয় তাহলে বিশুদ্ধ গোলমরিচ ভাসতে থাকবে এবং ভেজালযুক্ত থাকলে তা নিচে চলে যাবে। ১১। চা একটি নষ্ট বস্নটিং পেপারের উপরে কিছু চায়ের গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। যদি বস্নটিং পেপারের রঙ হলুদ, কমলা বা লাল হয়ে যায় তাহলে বোঝা যায় যে, এর মধ্যে কৃত্রিম রঙ মেশানো আছে। এইভাবে খুব সহজেই আমরা খাদ্যে ভেজাল শনাক্ত করে সেসব খাদ্য খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি। পরিবারের সবাই সুস্থ্য থাকতে পারি। আর সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক খাদ্য- যা আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন খাসফুড অনলাইন শপে। আমরা ন্যায্য মূল্যে বিশুদ্ধ সেরা পণ্যটি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে বদ্ধ পরিকর। ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাবার কোথায় পাব? ভেজাল খাদ্য কীভাবে চিনবেন তা তো বুঝা গেল। কিন্তু 'ভেজালমুক্ত খাদ্য কোথায় পাব' এটা আজ আমাদের সবার প্রশ্ন। এর উত্তর কে দিতে পারবে- তা কারো জানা নেই। খালি চোখে দেখে নিরাপদ খাদ্য আর ভেজালযুক্ত খাবারের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা মুশকিল। আর প্রতিবার খাদ্যদ্রব্য ক্রয়ের সময় তা পরীক্ষা করে দেখাও সম্ভব নয়। তাই নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করা আবশ্যক। মাছ মাংস কিংবা কাঁচা শাকসবজি কেনার ক্ষেত্রে নিজে বাজারে গিয়ে দেখেশুনে বাছাই করে কেনার চেষ্টা করবেন। ভেজালমুক্ত খাবার সতেজ ও উজ্জ্বল বর্ণের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে প্যাকেটজাত খাবার কেনার সময় কোম্পানির নাম, সিল, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ডেট দেখে কেনার চেষ্টা করবেন। য়