মৃগী রোগ সম্পর্কে জানা জরুরি

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
মৃগী রোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা মাঝেমধ্যে মৃগীবিষয়ক আলোচনা সভা (পড়ঁহংবষষরহম) বা পরামর্শ কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করলে তাদের 'মৃগী রোগ' সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি বাড়ে। নানাজনের নানা অসুবিধা ও অভিজ্ঞতার আলোকে আলোচনা হলে অনেকেই তাদের প্রশ্নের উত্তরসহ নিজেদের সমস্যা সমাধানের রাস্তাটা সহজে খুঁজে পায়। 'মৃগী' সম্পর্কে জানা ও তার রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি, মানুষের সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারে 'সামাজিক দক্ষতা'র (ংড়পরধষ ংশরষষ) ট্রেনিং নিতে পারলে জীবনটা অনেক সহজ ও নিরাপদ হয় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে তা কাজে লাগে। মানুষের সঙ্গে সহজ হতে না পারায় ও নানাবিধ হতাশার কারণে মৃগীওয়ালাদের অনেকেই একাকিত্ব বোধ করে। কাউন্সেলিংয়ে এপিলেপ্টিক সমিতির একই ঘরানার অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে মন ভালো থাকে, একা লাগার কোনো সুযোগ থাকে না এবং জীবনটা নতুনভাবে গড়ার ব্যাপারে উদ্দীপনা তৈরি হয়। আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী মৃগী রোগীরা একে অন্যের প্রতি অনেকটা যত্নশীল থাকে, তাদের সমস্যার কথা বোঝাতে ও বুঝতে অনেক সহজ হয়, দ্রম্নত ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে এবং বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। মৃগী রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মানসিক অশান্তি, বিভিন্ন রকম অনিশ্চয়তা ও এক ধরনের লজ্জা বা হীনমন্যতা কাজ করে। সুচিকিৎসার পাশাপাশি রোগী মাঝেমধ্যে কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিলে এসব সমস্যা অনেকটা হ্রাস পায়। সে আর দশজনের মতো স্বাভাবিকভাবে চলতে শেখে, যাবতীয় জড়তা দূর হয়, নিজের চলাফেরা, পড়াশোনা ও দৈনন্দিন কাজ করেও প্রয়োজনে অন্যকে সামলাতে পারে। মৃগী আক্রান্ত মেয়েদের বিভিন্ন রকম সমস্যা থাকে। কাউন্সেলিং করা তাদের একান্ত দরকার। সেখানে ওরা নিঃসঙ্কোচে তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারে ও প্রয়োজনীয় সমাধান পায়। য়